আজ আরও একটা ১৪ মে। আজ কিংবদন্তি বাঙালি পরিচালক মৃণাল সেনের আরও একটা জন্মদিন। ১৯২৩ সালে জন্মেছিলেন তিনি। বেঁচেജ থাকলে আজ তাঁর বয়স হত ১০২ বছর। মৃণাল সেনের কথা এলেই উঠে আসে 'মৃগয়া' ছবিটির কথা। কিংবদন্তি পরিচালকের এই ছবির হাত ধরেই 'সেরা অভিনেতা' হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মিঠꦚুন চক্রবর্তী। ছবিতে ‘ঘিনুয়া’ চরিত্রে মিঠুনকে যিনি বেছে নিয়েছিলেন মৃণাল সেন নিজেই।
একবার কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজের এক অনুষ্ঠানে 'মৃগয়া'র জন্য তাঁকে মৃণাল সেনের বেছে নেওয়ার পিছনে লুকিয়ে থাকা গল্পনা নিজেই বলেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘একটা অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলাম, সেখানে উনি আমাকে প༒িছন থেকে দেখে পছন্দ করেছিলেন। আমার চ🐻ুল, গায়ের রং নাকি ওঁর পছন্দ ছিল।’
এরপর মিঠুন, বিমল রায়ের কাছ থেকে জানতে পারেন মৃণাল সেন নাকি তাঁকে খুঁজছেন। এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচালকের কাছে নিজের বেশকিছু ছবিও পাঠিয়েছিলেন অভিনেতা। তখনও তিনি জানতেন না, মৃণাল সেন তাঁকেই ছবির কেন্দ্রীয় ܫচরিত্র ‘ঘিনুয়া’ বানাতে চান।
মিঠুন ভাবেন তাঁর গায়ের রং কালো, ফর্সা নন, তাই দাঁতমুখ বের করে ছবি তুলে পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেসময় তিনি মার্শল আর্টও করতেন। মিঠুনജ চক্রবর্তীর কথায়, ‘আসলে আমি এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম, ভিলেন, আবার যে নাচটাও পারে। যাই হোক আমার ছবি দেখেই মৃণালদা বাতিল করে দিলেন।’
অন্যদিকে সেসময় 'দো আনজানে' ছবিতে কাজ করছিলেন মিঠুন। সেই হিন্দি ছবির শ্যুটিংয়ে কলকাতায় এসেဣছিল গোটা টিম। সেই সুযোগে সোজা মৃণাল সেনের বাড়িতে চলে যান অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘আমাকে দেখেই উনি রেগে গেলেন। কী করি! ফিরে গেলাম।’
পরে বিমল রায়ের মাধ্যমে ফের অভিনেতাকে ডেকে পাঠান পরিচালক। মৃণাল সেন তখন আবার হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মিঠুন। তাঁকে দেখতেই সেদিন মৃণাল সেন বল💜ে উঠেছিলেন, ‘দ্যাটস দ্য বয়’। তারপরই মৃণাল সেনের হাত ধরে শুরু হল মিঠুন চক্রবর্তীর 'মৃগয়া'র পথ চলা। তৈরি হয়েছিল সেই বিখ্যাত ছবি 'মৃগয়া'।