নামী নায়িকা তনুজার সুপারস্টার কন্যা কাজল। তবে কেরিয়ারে মা কিংবা দিদির মতো সাফল্যের মুখ দেখেননি তনিশা। অভিনয় জীবনের শুরু থেকেই দিদি কাজলের সঙ্গে তুলনা শুনতে হয়ে তনিশাকে, যার ফল ভালো হয়নি তনিশার জন্য। একটা সময় দুই বোনের দূরত্ব নিয়েও কম কানাঘুষো শোনা যায়নি। ক্ষণস্থায়ী দূরত্বের কথা মেনেও নেন কাজল। আরও পড়ুন-বেবি বাম্প আগলে নাচ, শ্যুটিংয়ে মজে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অনিন্দিতা! তেঁতুলপাতা থেকে কবে ছুটি নেবেন হবু মা?
এখন দু'জনেই ব্যক্তিগত ও পেশাগতভাবে একে অপরকে সমর্থন করেন। তনিশা সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন যে কাজল ছেলেবেলায় খুব রেগে যেতেন এবং নায়িকার রাগ খুব বিপজ্জনক ছিল। এই কারণে তনুজাও কাজলকে ভয় পেতেন। এবং সারাক্ষণ মেয়েকে চোখেচোখে রাখতে।
হটারফ্লাইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তানিশার কাছে জানতে চাওয়া হয়, শৈশবের এমন কোনো স্মৃতি আছে কি না, যা তিনি আজও ভুলে যাননি। বিগ বস খ্যাত তনিশা বলেন,'আমার বাবার ঠাকুরমা আমাদের দেখাশোনা করেন। মা কাজে বেরোতেন। ওঁনার ভাই এবং তাঁর দুই মেয়েও আমাদের সাথে থাকত, তাই আমরা তিন বোন একসাথে বড় হয়েছি।'
ছোটবেলার স্মৃতি ও কাজলের সঙ্গে ঝগড়া নিয়ে তানিশা বলেন, তনুজা নাকি কাজলকে নিয়ে খুব ভয় পেতেন। তনিশার কথায়, ‘কাজল আর আমি খুব ঝগড়া করতাম। কাজল শুধু আমার চেয়ে বয়সে বড় নয়, আকারেও বড় ছিল। আমার মা ভয় পাচ্ছিলেন যে কাজল একদিন আমাকে মেরেই ফেলবে। ছোটবেলায় তার মেজাজ খারাপ ছিল। মা খুব ভয় পেতেন’।
তনিশা আরও বলেন, ‘আমার মা নিয়ম করেছিলেন যে আমরা একে অপরকে স্পর্শ না করে লড়াই করব। আমি মনে করি, এটাই ছিল আমার মায়ের সবচেয়ে ভালো কাজ। এতে আমার ও কাজলের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়। ’
২০০৩ সালে 'শ... কোই হ্যায়' ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন তনিশা মুখোপাধ্যায়। এরপর তাঁকে 'নীল অ্যান্ড নিকি', 'সরকার', 'সরকার রাজ', 'ওয়ান টু থ্রি'-র মতো ছবিতে কাজ করলেও সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেননি। তিনি সেভাবে দর্শকদের নজরে আসেন 'বিগ বস ৭' দিয়ে। সলমন সঞ্চালিত এই রিয়ালিটি শো-এ প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন। 'ঝলক দিখলাজা' ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
বোনের সঙ্গে দূরত্ব ও রেষারেষি নিয়ে কাজল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ' এক সময়ে ঘটেছিল (দূরত্ব তৈরি হ.)। তবে আমরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টা মিটিয়ে নিয়েছি। এই দূরত্ব ছিল ক্ষণস্থায়ী। আমাদের সম্পর্কের মধ্যে এটা খুব বেশি কিছুই করতে পারেনি। তানিশা যখন সিনেমায় কাজ করছিল, তখন এই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, এখন আর এটা নেই।'