বিহারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক সাব-ইনস্পেক্টরের দিদিকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল। শরীরে একাধিকবার ছুরির কোপ বসানোর পর মুখে রান্নার গ্যাসের পাইপ ঢুকিয়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পাটনার আনন্দপুরে। ঘরে বিছানার উপর থেকে যুবতীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। আগুনে ঘরের জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছিল। অথচ প্রতিবেশীরা আগুন লাগার বিষয়টি টের পাননি বলেই দাবি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। যদিও কে বা কারা এই খুনওের সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। মৃত যুবতীর নাম সঞ্জনা সিং।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে ভাইয়ের হাতে দাদা খুন ক্যানিংয়ে, অভিয🌞ুক্ত পলাতক, তদন্ত শুরু করল পুলিশ
জানা গিয়েছে, সঞ্জনার ভাই সৌরভ সিং বিহার পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টরের চাকরি পেয়েছেন। এখন তাঁর প্রশিক্ষণ চলছে। সঞ্জনা মুজফ্ফর নগরের বাসিন্দা হলেও আনন্দপুর এলাকায় থাকতেন। দিদির খুনের খবর শুনেই সেখানে ছুটে যান সৌরভ। তিনি জানান, তাঁর দিদির ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ খোলা ছিল। বিছানা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে গিয়েছে। তবে প্রতিবেশীরা আগুন লাগার বিষয়টি টেরই পাননি। জানা গিয়েছে, একট𝔍ি বেসরকারি সংস্থা কাজ করতেন সঞ্জনা। সম্প্রতি তিনি সিজিএল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ৬ মাস ধরে তিনি একা থাকছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িওয়ালা সঞ্চনার ঘরের আলো অনেকক্ষণ বন্ধ থাকতে দেখেন। এরপরে তিনি তাঁর পরিচারিকাকে সঞ্জনার ঘরে গিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। পরিচারিকা সেখানে যেতেই দেখেন আগুনে দগ্ধ অবস্থায় ♏বিছানায় পড়ে রয়েছে সঞ্জনার দেহ। সঙ্গে-সঙ্গে তিনি বাড়িওয়ালাকে জানান। এ বিষয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল পৌঁছে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেছে। রিপোর্ট আসার পরে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানতে পারবে পুলিশ। এই অবস্থায় সঞ্জনা কার কার সঙ্গে কথা বলতেন, কার সঙ্গে বেশি কথা হত, কে তাঁর ঘরে শেষবার এসেছিল, সেই সমস্ত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর জন্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সৌরভ জানান, তাঁর মায়ের সঙ্গে দিদির শেষ হওয়ার কথা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সকালে। তারপর থেকে সঞ্জনার ফোন বন্ধ ছিল। ফলে আগেই তাঁকে খুন করা হতে প𒉰ারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবারের সদস্যরা।