অসুবিধার সম্মুখীন শহরে বিশেষ নজর কেন্দ্রের। বাসস্থানের দিকে নজর দেওয়া হবে। শহরগুলিকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু করে তোলা হবে। এই ধারণা নিয়েই, ৩০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা রয়েছে, এমন ১৪টি শহরের পরিবহণের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প বা ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট স্কিম কার্যকর দেওয়া হবে। এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে ২০২৪ সালের বাজেটে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ৯টি অগ্রাধিকারের মধ্যে নজর পরিকল্পনাও একটি।
জানা গিয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা এবং চেন্নাইয়ের পাশাপাশি, যে শহরগুলি এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারে সেগুলির মধ্যে রয়েছে হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদ, সুরাট, পুনে, জয়পুর, কোঝিকোড়, লখনউ, ত্রিশুর, কোচি, ইন্দোর, কানপুর, নাগপুর এবং কোয়েম্বাটুরও।
নগর উন্নয়ন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর হাইলাইটস
অর্থনৈতিক ও পরিবহন পরিকল্পনার মাধ্যমে শহুরে এলাকার পরিকল্পিত উন্নয়ন।
১০০টি প্রধান শহরের জন্য জল সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এবং পরিষেবা।
৩০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যার ১৪টি বড় শহরের জন্য পরিবহন সম্পর্কিত উন্নয়ন পরিকল্পনা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহুরে) ২.০-এর অধীনে এক কোটি শহুরে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবার সুবিধা পাবে।
নির্বাচিত শহরগুলিতে ১০০ হাট বা স্ট্রিট ফুড হাব তৈরি করা হবে।
শিল্প শ্রমিকদের জন্য পিপিপি পদ্ধতিতে ভাড়া বাড়ি নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: (বঞ্চিত বাজেটের বিরুদ্ধে এককাট্টা ‘ইন্ডিয়া’, বিক্ষোভে সামিল রাহুল–ডেরেক–অখিলেশরা)
শহরের উন্নয়নে কীভাবে কাজ করবে কেন্দ্র
সীতারামন বলেছিলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার শহরগুলির উন্নয়নের জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে। অর্থনৈতিক ও ট্রানজিট পরিকল্পনার মাধ্যমে শহরকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে দেওয়া হবে। যে শহরগুলির আশেপাশের এলাকাগুলিকেও একই খাতে নিয়ে আসা হবে।
নগর পরিকল্পনা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৭৫ শতাংশের বেশি শহরে নগর পরিকল্পনা করার মতন কেউ নেই। শহরগুলিতে বাড়ি তৈরির জন্য ২.২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হবে। অর্থমন্ত্রী আগামী পাঁচ বছরে শহরগুলিতে আবাসন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ২.২ লক্ষ কোটি টাকার সহায়তার ঘোষণাও করেছেন।
আরও পড়ুন: (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি জয়ী ত্রিপুরার ৭১ শতাংশ আসনে, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে চর্চা)
শহরে মধ্যবিত্ত মালিকের নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন পূরণ হবে
তৃতীয় ইনিংসে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে, মোদী সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় শহর ও গ্রামে তিন কোটি নতুন বাড়ি তৈরির ঘোষণা করেছে। এর আওতায় গ্রামে দুই কোটি বাড়ি এবং শহরে এক কোটি বাড়ি তৈরি হবে। শহরগুলিতে বাড়ি তৈরি করতে, কেন্দ্রীয় সরকার ঋণের সুদেও ভর্তুকি দেবে, যাতে মানুষ সাশ্রয়ী ঋণ পেতে পারে।
স্বচ্ছ রেন্টাল হাউজিং মার্কেট তৈরি হবে
অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে শহরগুলিতে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ রেন্টাল হাউজিং বাজার তৈরি করা হবে। শহুরে জনসংখ্যার একটি বিশাল সংখ্যক মানুষ ভাড়া করা বাসস্থানের উপর নির্ভরশীল এবং এর জন্য কোনo নিশ্চিত ব্যবস্থা নেই। তাই সীতারামন বলেছেন যে এবার থেকে স্বচ্ছতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটি হলে ভাড়ার জন্য বাড়ির সংখ্যাও বাড়বে। পিপিপি মডেলে শহরে শিল্প শ্রমিকদের জন্য হোস্টেলের মতো সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য টাকা দেবে।
নির্বাচিত শহরে শতাধিক সাপ্তাহিক বাজার খোলা হবে
মানুষ যাতে, নিজের কাজের ব্যবস্থা নিজেই করতে পারে, তার জন্য শহরগুলিতে প্রচারের পাশাপাশি রাস্তার বিক্রেতাদের আরও জায়গা দিতে, নির্বাচিত শহরগুলিতে শত শত সাপ্তাহিক বাজার স্থাপনের ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাস্তার বিক্রেতাদের ব্যবসার জন্য ঋণ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা চালাচ্ছে। সাপ্তাহিক বাজারগুলিও একই খাতের একটি অংশ হবে।