যোগগুরু বাবা রামদেবকে ভর্ৎসনা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগে 'হামদর্দ' কোম্পানির নরম পানীয় 'রুহ আফজা' শরবতকে 'শরবত জেহাদ'-এর অঙ্গ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন রামদেব। সম্প্রতি 'শরবত জেহাদ' নিয়ে ফের একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। আদালত এর আগের ভিডিয়ো প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রামদেবকে।
আরও পড়ুন-বিধ্বংসী দাবানলে লণ্ডভণ্ড ইজরায়েল! জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর
আবার একই ধরনের ভিডিয়ো প্রকাশ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অমিত বনশল বলেন, 'রামদেবকে নিয়ন্ত্রণে আনা কারও সম্ভব নয়। উনি নিজের জগতেই বাস করেন। আমি এখনই অবমাননার নোটিশ জারি করব।' এরপরেই আগের নির্দেশ ভঙ্গ করার জন্য আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়া হয়েছে রামদেবকে।এ র প্রত্যুত্তরে রামদেবের আইনজীবী আদালতে জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা সমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে বিতর্কিত ভিডিয়ো তুলে নেবেন।
বিতর্কের সূত্রপাত
পতঞ্জলি গ্রীষ্মের প্রথমে একটি রোজ সিরাপ বাজারে চালু করে। সেই অনুষ্ঠানে রামদেব বলেন, দেশে একটি কোম্পানি আছে, যারা শরবত তৈরি করে। আপনারা সেই শরবত ব্যবহারও করেন। কিন্তু, এই শরবত বেচার টাকা যায় মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করতে। যদিও রামদেব এ প্রসঙ্গে হামদর্দ কোম্পানির রুহ আফজার নাম করেননি। তবে ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কে জড়ান রামদেব। এরপরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে যোগগুরু রামদেব বলেন, 'আমি কারও নাম করেনি, কিন্তু রুহ আফজার লোকেরা নিজেদের উপর শরবত জিহাদ নিয়েছে... এর মানে তারা এই জিহাদ করছে।'
আরও পড়ুন-বিধ্বংসী দাবানলে লণ্ডভণ্ড ইজরায়েল! জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর
কিন্তু রামদেবের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় 'হামদর্দ' ল্যাবরেটরিজ। ২২ এপ্রিল শুনানিতে বিচারপতি আমিত বনশল বলেন, 'এই ধরনের মন্তব্য শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি সমাজে বিভাজন সৃষ্টির প্রচেষ্টা। এটি আদালতের বিবেককে গভীরভাবে আঘাত করে।' আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের কথাকে কোনওমতেই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করা যায় না। এরপরেই পাঁচদিনের মধ্যে রামদেবের ওই মন্তব্যের সমস্ত বিজ্ঞাপন ও ভিডিয়ো তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু, তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, পুরো বিষয়টিতে একটি হলফনামা দিতে হবে।