জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার শর্তহীনভাবে নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন জানাবেন বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তবে এসবের মধ্য়ে একটা 'কিন্তু ' থেকেই গিয়েছে।
আসলে নীতীশ কুমার মাঝেমধ্য়ে ডিগবাজি খান। মানে রাজনৈতিক ডিগবাজি। তিনি যে কখন কার দিকে চলে যাবেন সেটা আগাম বোঝা যায় না। তবে আপাতত তিনি এনডিএর সঙ্গে তিনি থাকছেন। তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা পুরোপুরিভাবে আপনার সঙ্গে থাকব। আসলে নীতীশ কুমার এনডিএর পাশে থাকার কথা বললেও অনেকেরই এনিয়ে নানা সংশয় থেকেই গিয়েছে। কারণ তাঁর অতীত রাজনৈতিক জীবন। তিনি কখন যে পালটি খেয়ে যাবেন সেটা বোঝা দুষ্কর।
তবে নীতীশ কুমার নিজে জানিয়েছেন, আমরা আপনার সঙ্গে থাকব। আপনি যেটা করতে চান সেটাতে আমরা সমর্থন জানাব। তবে এর সঙ্গেই বিহারের প্রসঙ্গটা মনে করিয়ে দেন তিনি।
আসলে তিনি বিহারের জন্য স্পেশাল ক্যাটাগরির রাজ্য হিসাবে ঘোষণার ব্যাপারটি মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, এর পরের বার আপনি যখন আসবেন তখন আপনিই সব আসন জিতবেন। এটা নিয়ে আমার পুরো বিশ্বাস আছে। এদিক-ওদিক যারা কিছুটা জিতেছে তারা সবাই পরাজিত হবেন।
সেই সঙ্গেই বিরোধীদের একহাত নেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ওরা কোন কাজটা করেছে? তারা দেশের জন্য কোনও কাজ করেনি। আপনার কাছে ফের সুযোগ এসেছে। তাদের আর ফেরার কোনও সুযোগ নেই।
সেই সঙ্গেই নীতীশ জানিয়েছেন, আপনি রবিবার শপথ নিতে পারেন। কিন্তু আমি বলব আপনি আজই শপথ নিয়ে নিন। আপনার যবে খুশি আপনি শপথ নিয়ে নিন। কিছুটা হালকা চালেই নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, যত শীঘ্র সম্ভব আপনি শপথ নিয়ে নিন।
কার্যত এবার আর মোদী সরকার নয়। এবার হল এনডিএ সরকার। সেখানে নীতীশ কুমার , চন্দ্রবাবু নাইডুদের সমর্থন নিতে হচ্ছে বিজেপিকে। আর একলা চলার মতো পরিস্থিতি নেই মোদীর। এবার শরিকদের উপর নির্ভর করে চলতে হবে বিজেপিকে। সেক্ষেত্রে শরিকদের মন রক্ষা করতে হবে বিজেপিকে। কারণ একটু এদিক-ওদিক করলেই সমস্যায় পড়ে যাবে সরকার। এমনকী রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে,আগে যেভাবে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যত কারোর পরোয়া করত না বিজেপি, সেটা এবার কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। সব মিলিয়ে এবার কার্যত কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির।