বুধবার (৮ জুন) কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই শুরু হল ভারতে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের যাত্রা। ম্যাচের আগে ভারতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ বলেছিলেন তিনি চান তাঁর দল যেন শুরু থেকেই ম্যাচের দখল নিয়ে দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জেতে। ব্লু টাইগার্সরা কিন্তু কোচকে একদমই হতাশ করলেন না। দর্শকদের সমর্থন পেয়ে দাপটের সঙ্গে ২-০ গোলে কম্বোডিয়াকে হারাল ভারত।
ম্যাচের একেবারে প্রথম দিকে শুরুটা মন্দ করেনি কম্বোডিয়া। কয়েকটি সুযোগও তৈরি করছিলেন তারা। তবে ম্যাচ গড়াতেই ভারত খেলার দখল নিয়ে নেয়, বা বলা ভাল মাঝমাঠে ভারতের দখল নেন ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ। দূরপাল্লার শট থেকে সুন্দর পাসিং ফুটবল এবং বল দখল, সবেতেই ব্রেন্ডনের পারফরম্যান্স ছিল অভূতপূর্ব। তবে ম্যাচের নায়ক কিন্তু সেই সুনীল ছেত্রীই। উভয় অর্ধেই ভারতের হয়ে গোল করেন দলের কিংবদন্তি অধিনায়ক।
আরও পড়ুন:- পরপর হারছে দল, তাও স্টিমাচের অধীনে নাকি ভারতের দারুণ উন্নতি হয়েছে, দাবি সন্দেশের
ম্যাচের ১২ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর চোরা গতি সামলাতে না পেরে তাঁকে ফাউল করে বসে কম্বোডিয়া। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি সুনীল। প্রথমার্ধে ভারতীয় দল বাকি প্রায় গোটা সময়টাই বল নিজেদের দখলে রাখলেও, কম্বোডিয়া দাঁতে দাঁত চেপে ডিফেন্ড করতে থাকে। সত্যি বলতে ভারতের পাসিং ফুটবলও বেশ মন্থর ছিল এবং তাতে প্রতিপক্ষকে তেমন চাপে ফেলা সম্ভব না। ১-০ এগিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে ভারতীয় দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও ভারতের দখল বজায় থাকে। ম্যাচের এক ঘণ্টার মাথায় কর্ণার থেকে সুন্দর এক দুই খেলে বক্সে ক্রস তোলেন ব্রেন্ডন। তাঁর ক্রস থেকে হেডারে ম্যাচের দ্বিতীয় ও ভারতের নীল জার্সি গায়ে ৮২তম গোলটি করে ফেলেন সুনীল। দ্বিতীয় পোস্টে দেরিতে রান নিয়ে একেবারে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সুনীল। এমন পরিস্থিতি থেকে তিন যে গোল করবেন, এটা তো কার্যত নির্ধারিতই ছিল। তবে জাতীয় দলের হয়ে কেরিয়ারের চতুর্থ হ্যাটট্রিকটি করা হল না সুনীলের। তাঁকে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ খানিকটা সময় বাকি থাকতেই তুলে নেন কোচ স্টিমাচ।
আরও পড়ুন:- I-League খেলা ফুটবলাররা কেন জাতীয় দলে ব্রাত্য, আসল কারণ খোলসা করলেন কোচ স্টিমাচ
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।