বিজেপি থেকে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে এক নেত্রী। আর যোগদানের অনুষ্ঠান থেকেই বিজেপি ছাড়ার কারণ হিসেবে বিস্ফোরক দাবি করলেন ওই নেত্রী। তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূলের অত্যাচারের কারণেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করেছেন কোচবিহারের নাটাবাড়ি বিধানসভার ওই নেত্রী জব🍬া দেবনাথ। তিনি বিধানসভার ৫ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ছিল🐬েন। তাঁর এই মন্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এনিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন: লাঠিপ🤡েটা করা💮র পর কাঁচি দিয়ে জিভ কেটে মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন, কাঠগড়ায় BJP নেতা
জানা গিয়েছে, জবা দেবনাথ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতিতে দলের পতাকা তুলে নিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। এরপর তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেই সম্মেলনে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন?👍 তখন সকলের উপস্থিতিতেই দলবদলের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বিজেপি করি বলে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছিল তৃণমূল। মেয়েদের ভয় দেখানো হয়েছে। আরও অনেক কিছু করেছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল করব। এখন দেখি তৃণমূল করে কী পাই?’ বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই নেত্রী মুচকি হেসে ফেলেন। তখন সেখানে থাকা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি তড়িঘড়ি এবিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, উনি আসলে অনেক আগের কথা বলতে চাইছেন। তিনি আরও জানান, বিজেপির লোকজন তৃণমূলের নাম করে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। এছাড়াও, তিনি জানান, আগামী দিনে ওই নেত্রীকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, জবা দেবনাথ তৃণমূলে যোগদানের ঠিক আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপির একটি মিছিলে অংশ নিয়েছি𝕴লেন। এমনকী যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। তবে কর্মসূচি শেষ হতেই তিনি সোজা ত♊ৃণমূলে যোগ দেন।
নিজের এক্স পোস্টে নেত্রীর ওই বক্তব্যের ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) শেয়ার করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি নিজের এক্স পোস্টে লেখেন, ‘জবা দেবনাথ সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে এক কঠিন বাস্তবতা প্রকাশ করে ফেলেন। তাঁকে বাধ্য হয়ে পক্ষ পরিবর্তন করতে হয়েছে। কারণ তাঁর বাড়ি ও সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছিল।’ তিনি আরও লেখেন, ‘ভালো করে লক্ষ্য করুন, কীভাবে তাঁর মুখের হাসি মিলিয়ে যায়। যখন তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি অস্বস্তিকর সত্য বলে ফেলেছেন। সমগ্র বাংলাজুড়ে বহু মানুষকে প্রাণনাশ, যৌন নির্যাতন এবং তাঁদের জীবন, জীবিকা ও সম্পত্তি ধ্বংসের হুমকি দিয়ে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে।’ সুকান্ত দাবি করেন, যদি অবাধ ও ন্যায়সঙ্গত নির্বাচন হয়, মানুষকে সত্যিকার অর্থে তাঁদের মত প্র✃কাশের সুযোগ দেওয়া হয়, তবে নিঃসন্দেহে বাংলার মানুষ বিজেপিকেই বেছে নেবে।