সাধারণত স্কুলগুলিতে গ্যাসের চুল্লিতে মিড ডে মিলের খাবার রান্না হয়ে থাকে। তবে এতে খরচ বেশি পড়ে। আবার দূষণের কারণে কাঠের ব্যবহার করা হয় না। এই সমস্ত কারণে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে সৌরশক্তির মাধ্যমে মিড ডে মিল রান্নার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেইমতো রাজ্যে প্রথম দমদম পার্কের কৃষ্ণপুর আদর্শ বিদ্যামন্দিরে সরকারি উদ্যোগে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে মিড ডে মিল রান্না শুরু হল। বসানো হয়েছে রান্নার জন্য যন্ত্র। ইন্ডাকশন জাতীয় এই যন্ত্রে সহজে রান্না করা যাবে। যাকে বলা হচ্ছে ই-গ্রিন কুকিং।
আরও পড়ুন: এক থালায় দুই বন্ধুর মিড–ডে মিল খাওয়া কেন? তদন্তের নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর
জানা গিয়েছে, দমদমের ওই স্কুলে সোমবার এবং মঙ্গলবার এই যন্ত্রের মাধ্যমে রান্না হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই স্কুলে শিক্ষা দফতরে তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও রাজ্যের অন্যান্য স্কুলগুলিতে এই পদক্ষেপ করছে শিক্ষা দফতর। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী-সূর্য ঘর: বিনামূল্য বিদ্যুৎ যোজনা প্রকল্প । কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার কাজ করেছে। জানা গিয়েছে, স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে প্রায় ৩,৫০০ স্কুলে বসিয়েছে সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে। স্কুলের তরফে জানানো হচ্ছে, ই-গ্রিন কুকিংয়ের ফলে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে মিড ডে মিল রান্না করা যাবে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগে কাঠ ব্যবহার করা হতো মিড ডে মিলের জ্বালানি হিসেবে। এরপর রান্নার গ্যাস ব্যবহার করা হতো। কিন্তু, এই দুই এক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি খরচ বেশি পড়ত। সেই কারণে এই পদ্ধতিতে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে খরচ এবং দূষণ কমার পাশাপাশি রান্নার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সুরক্ষা বাড়বে। শুধু তাই নয়, কম সময়ে রান্না করা সম্ভব।
বর্তমানে এই যন্ত্রের সাহায্যে স্কুলে ২০০ থেকে ২৫০ জনের রান্না করা সম্ভব হচ্ছে। তবে গরমে ছুটির পরে স্কুলে বড় যন্ত্র লাগানো হবে তখন একসঙ্গে আরও অনেক জনের রান্না করা সম্ভব হবে। সূত্রের খবর স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন ৩,৫০০ স্কুলে এই যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
যদিও স্কুলের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা জানিয়েছেন, এর ফলে সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে। তবে গ্যাসের থেকে কিছুটা বেশি সময় লাগছে রান্না করতে। রান্নায় বেশি সময় লাগার কারণ হিসেবে অবশ্য স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও স্কুলে বিদ্যুতের কাজ কিছু বাকি রয়েছে। যখন পুরোপুরিভাবে এই যন্ত্র চালু হয়ে যাবে এবং বড় মেশিন বসানো হবে, তখন অল্প সময়ে রান্না করা যাবে।