রাজ্যজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বপ্নের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা পেতে চলেছেন। আর কদিনের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা পৌঁছে যাবে উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস সারা বাংলাজুড়ে জনগণের কথা শেয়ার করতে শুরু করেছে। কীভাবে এই উদ্যোগটি মানুষের জীবনকে বদলে দেবে? ভিডিয়ো’র মাধ্যমে এই মাসের শেষ পর্যন্ত প্রচার চলবে। ভিডিয়োগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে শেয়ার করা হয়েছে। যার প্রধান লক্ষ্য হল রাজ্যজুড়ে ১২ লক্ষ উপভোক্তার উপর ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের গভীর প্রভাব সামনে নিয়ে আসা।
এখন এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে পোস্ট করার কাজ চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক বাসিন্দার কথা শেয়ার করেছে। মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চট্টা রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা উসমান গায়েন বলেন, ‘আমরা একটি ত্রিপলে ঢাকা ঝুপড়িতে থাকি। অতীতে সেখানে মাঝরাতে দেওয়াল ভেঙে পড়েছিল। যখন আমরা বাচ্চা নিয়ে দিশেহারা তখন প্রতিবেশীরা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। প্রায়ই বর্ষায় এলাকা প্লাবিত হয়। খুব অসহায় হয়ে পড়ি। আমার নাম বাংলার বাড়ি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আমি দিদিকে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: কাঁথির সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল–বিজেপির তুমুল সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র এলাকা, অরবোধ রামনগর
এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আবাস যোজনার অধীনে ন্যায্য আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিতদের মাথার উপর ছাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম কিস্তির টাকা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখের মধ্যে উপভোক্তাদের কাছে পাঠানো হবে। যেখানে এনডিএ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে রেখেছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এবার রাখতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই এই ভিডিয়ো শেয়ার করার কাজ চলছে। যা আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নভেম্বর মাসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, কেন্দ্র যদি আবাসের অর্থ না দেয়, তবে আমরাই জনগণের পাশে থাকব। আমরা ১১.৩৬ লক্ষ জনের তালিকায় আরও ১ লক্ষ নাম যুক্ত করেছি। অনেক মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাঁদের ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। আমরা আমাদের নিজস্ব রাজ্য তহবিল ব্যবহার করব ১২ লক্ষেরও বেশি বাড়ির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা বিতরণ করতে, শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে।’ আজ থেকে তা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সবাই তা পেয়ে যাবেন। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা সব কেন্দ্র বন্ধ করে রেখেছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ।