ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স এই মুহূর্তে আইপিএল ২০২৫-এ বেশ চাপে রয়েছেন। আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছে কেকেআর। বাকি পাঁচ ম্যাচেই হেরেছে তারা। তবে ঘরের মাঠ ইডেনে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে দলের স্পিন-বোলিং অলরাউন্ডার মইন আলি দাবি করেছেন যেন, এবারের আইপিএলে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এবং প্লে-অফ নিশ্চিত করতে, যা কিছু প্রয়োজন, সবটাই মজুত আছে কেকেআর-এর ভান্ডারে।
কেকেআরের বহুল আলোচিত ব্যাটিং লাইন-আপ এবার প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নাইটরা আইপিএলের পয়েন্ট টেবলে এই মুহূর্তে সপ্তম স্থানে নেমে গিয়েছে। এখনও ছ'টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। প্লে-অফে খেলার সুযোগ পেতে হলে তাদের কমপক্ষে পাঁচটি ম্যাচ জিততেই হবে। এই পরিস্থিতি মইন আলি দাবি করেছেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, মুম্বইয়েরও শুরুটা খারাপ হয়েছিল। তবে এখন তারা টানা চারটি ম্যাচ জিতেছে এবং সাফল্যের মুখ দেখছে। আমাদেরও একই মানসিকতা রাখা দরকার। আমরা অর্ধেক পথ পার করেছি, আমাদের বেশির ভাগ খেলা এখন জিততে হবে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘এই দলটি দেখিয়ে দিয়েছে যে, তারা দৌড়ে যেতে পারে। কিন্তু তা করার জন্য অনেক দৃঢ় সংকল্প এবং বিশ্বাসের প্রয়োজন রয়েছে।’
মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই ডুবছে দল। বেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল এবং রমনদীপ সিং-রা খেলা শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।মুল্লানপুরে পিবিকেএসের বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচে, তারা ১১২ রান তাড়া করতে নেমে ৬২/২ থেকে ৯৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ৩৩ রানের মধ্যে আট উইকেট হারিয়ে বসেছিল নাইটরা। তার আগে, লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ২৩৯ রান তাড়া করতে নেমে শক্তিশালী জায়গা থেকে নাটকীয় ভাবে মাত্র ৪ রানে ম্যাচ হেরে বসে থাকে।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে মইন বলছিলেন, ‘খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যখন আমরা প্রায় ২৪০ রান তাড়া করে ফেলেছিলাম। আমরা মাঝে মাঝে ভালো খেলেছি। তবে এটা ভাবা বোকামি হবে যে, আমরা সব সময়ে ভালো খেলছি এবং সব কিছু করে ফেলতে পারব।’
আরও পড়ুন: করজোড়ে দীনেশ কার্তিকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান কোহলির, ডিকে পরে বলেন, ‘আমি ওর তুলনায় এতই ছোট যে…’
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘গত দু'টি ম্যাচে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি, সেভাবে ব্যাট করলে আমরা খুব বেশি ম্যাচ জিততে পারব না। আমাদের নিজেদের আরও প্রকাশ করতে হবে। কখনও কখনও বাইরে থেকে মনে হয়, খেলোয়াড়দের উপর চাপ অনেক বেশি রয়েছে, কিন্তু সেই চাপ কমিয়ে আনতে হবে এবং সেই দক্ষতা দেখাতে হবে। আমাদের দলে সুনীল নারিনের মতো অতি আক্রমণাত্মক প্লেয়ার যেমন রয়েছে, তেমন অজিঙ্কার মতো ধ্রুপদী প্লেয়ারও আছে, যে ভালো ছন্দে আছে। অংক্রিশ দুর্দান্ত খেলছে, এবং তার পরে বেঙ্কি, রিঙ্কু, আমি, রাসেল সবাই আছে।’
মইন আরও বলেছেন, ‘আমাদের কাছে আক্ষরিক অর্থেই সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ রয়েছে। অংক্রিশ এবং অজিঙ্কার মতো কিছু খেলোয়াড় ভালো করছে, কিন্তু একটি দল হিসেবে আমরা এখনও তেমন কিছু করতে পারিনি। এখন শুধু পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে হবে।’
পিবিকেএস-এর কাছে তাদের পূর্ববর্তী পরাজয়ের কথা স্মরণ করে মইনের দাবি. সেই হারটি সত্যিই অত্যন্ত খারাপ ছিল। তিনি বলেছেন, ‘আক্ষরিক অর্থেই খুব খারাপ আধ ঘন্টা বা ৪০ মিনিট ছিল সেটি।’ ১১২ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল কেকেআর। যুজবেন্দ্র চাহালের ৪ উইকেট এবং মার্কো জানসেনের ৩ উইকেটের সৌজন্যে নাইটদের ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার চেহারাটা বের হয়ে পড়েছিল।