২০২৫ আইপিএলের শুরুটা হয়েছিল পঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে হার দিয়ে। তারপরই মনে হয়েছিল এবারের আইপিএলেও কি গতবার ব্যর্থতাই সঙ্গী থাকবে গুজরাট টাইটান্সের? যদিও জয়ের হ্যাটট্রিক করে আপাতত ২০𒅌২২ সালের চ্যাম্পিয়নরা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে তাঁদেরই ঘরের মাঠে উড়িয়ে দিল গুজরাট শিবির।
এই ম্যাচে গুজরাটের বেশ কয়েকটা ট্যাকটিকাল বিষয়ই নজর কাড়ল। প্রথমত তেমন বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে বোলিং লাইন আপ সাজাননি। দীর্ঘদিনের সঙ্গী রাশিদ খান ছিলেন, বাকিরা প্রত্যেকেই ভারতীয়। সিরাজ, ইশান্ত, সাই কিশোর এবং প্রসিধ কৃষ্ণা। এরপর ব্যাটিংয়ের রান তাড়া করতে নেমেও ওয়াসিংটন সুন্দরকে প🧸্রোমোট করা হয় ওপরের দিকে। পাওয়ারপ্লেতে এসে তিনিও ভালো ব্যাটিং করলেন এবং দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন।
বল হাতে শুরু করেছিলেন সিরাজ। হেডকে তিনি আউট করার পরই প্রশ্ন উঠছিল, কেন ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালেও নতুন বলে হেডের বিরুদ্ধে সিরাজকে বোলিং করতে দেওয়া হয়নি। আর এদিনের ম্যাচে সিরাজের চার 🐠উইকেটের পর ব্যাট হাতে শেষটা করলেন অধিনায়ক শুভমন গিল। জিটির ক্🌌যাপ্টেন অ্যাঙ্কার ইনিংস খেললেন, অপরাজিত থাকলেন ৪৩ বলে ৬১ রানে।
ম্যাচ শেষে গিল প্রশংসা ভরিয়ে দিলেন বোলারদেরই। সাই কিশোরও এদিনের ম্যাচে খুবই কৃপন বোলিং করে♏ছেন। গিল বললেন, ‘টি২০ ফরম্যাটে বোলাররাই কিন্তু গেম চেঞ্জার। অনেকেই যারা বিগ হিটার (বড় শট খেলা ব্যাটার) তাঁদের কথা বলে, কিন্তু বোলাররাই আসলে ম্যাচ জেতায়। আর সিরাজের বোলিংয়ের সময় বা ফিল্ডিংয়ের সময় যে শক্তি বা উদ্দীপনা থাকে, সেটা একরকম সংক্রামক। ওর মতো ক্রিকেটারকে সব সময়ই দলে রাখতে হয়, ও থাকলে দল উদ্বুদ্ধ হয়ে যায় ’।
এরপর ওয়াসিংটন সুন্দরের সঙ্গে তাঁর জুটি নিয়ে কথা বলেন গিল। গুজরাটের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা মাঠের চারদিকেই শট𝔉 খেলচে চাইছিলাম, সেই কথাই ওয়াসিংটন সুন্দরকে বলছিলাম। শুধুই সেই সময় ম্যাচ নিয়ে, ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছিলাম। আগের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচেই ওর খেলার কথা ছিল, কিন্তু আমরা একজন অতিরিক্ত বোলারকে ইম্প্য✤াক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলিয়েছিলাম। আজকে সুযোগ পেয়ে সুন্দর অসাধারণ খেলেছে। চাইছিলাম ৩০-৪০ রানের একটা পার্টনারশিপ করতে ’। প্রসঙ্গত বুধবার রয়েছে গুজরাট টাইটান্সের পরের ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে। সেটি গুজরাটেরই হোম ম্যাচ। তাই ঘরে ফিরেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইবেন গিল।