হিমাচল প্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন সুখবিন্দর সিং সুখু। তাঁর ডেপুটি হচ্ছেন বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী। আগামিকাল (রবিবার) সকাল ১১ টায় তাঁরা শপথগ্রহণ করলেন বলে জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা হিমাচলে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ভূপেশ বাঘেল।
শনিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর ভাবী মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর বলেন, 'সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং রাজ্যের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। আমাদের সরকার পরিবর্তন নিয়ে আসবে। হিমাচল প্রদেশের মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আমরা, তা পূরণ করা আমার দায়িত্ব। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আমাদের কাজে করতে হবে।'
আরও পড়ুন: Himachal Pradesh Election Results 2022: ভাঙতে দিল না ‘রেওয়াজ’! পাহাড়ি রাজ্য হিমাচলে 'শৃঙ্গ' চড়ল কংগ্রেস, গড়ছে সরকার
বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে মূলত তিনজন ছিলেন - সুখবিন্দর, বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা। শেষপর্যন্ত ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা সুখবিন্দরকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মুকেশ। তারপর সুখবিন্দর বলেন, 'আমি এবং ভাবী উপ-মুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী একটা টিম হিসেবে কাজ করব। ১৭ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলাম। কংগ্রেস আমার সঙ্গে যা করেছে, তা কখনও ভুলতে পারব না।'
আরও পড়ুন: Himachal Pradesh Election Results 2022: ২০১৯-তে দেশে রেকর্ড, ৩ বছর পরে BJP-র ভোট কমল ২৬% - হিমাচলে হল সাপ-লুডোর খেলা
সুখবিন্দর সিং সুখুর পরিচিতি
- হিমাচল প্রদেশের নাদৌন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনবার জিতেছেন সুখবিন্দর। এবার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসে নির্বাচন কমিটির প্রধান ছিলেন।
- দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে থাকায় স্থানীয় মানুষ এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা আছে। তাঁর অনেক অনুগামীও আছেন।
- নাদৌনের বাসিন্দা সুখবিন্দরের আইনে ডিগ্রি আছে। পরবর্তীতে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন 'ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া'-তে যোগ দিয়েছিলেন।
- ১৯৮৯ সালে রাজ্য শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০২ সালের মধ্যে শিমলা পুরনিগমে দু'বার কাউন্সিলরও হয়েছিলেন সুখবিন্দর।
- ২০০৮ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক হয়েছিলেন। সেইসময় ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিলেন। দলকে সামলানোর দক্ষতা এবং নেতা-কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার জন্য তাঁকে ২০১৩ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছিল।