💖 এপ্রিলেই ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫-র ট্রফি হাতে ওঠে বাংলার মেয়ে মানসী ঘোষের। আর তারপর থেকে সকলে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে মানসীকে। হবে নাই বা কেন, এই দীর্ঘ সময়ে বহু বাঙালি জাতীয় মঞ্চে সকলকে সুরের জাদুতে ভাসালেও, হতে পারেনি বিজয়ী। আর সেই অসাধ্য সাধনই করে দেখিয়েছে ২৪ বছরের মেয়ে মানসী।
❀তা কোন ব্যবসার আইডিয়া এল মানসীর কাছ থেকে? ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করলেন মানসী। যেখানে হাতে দেখা গেল গুচ্ছের চকোলেটের বাক্স। সেলফির ক্যপশনে মানসী লিখলেন, ‘ব্যবসার জন্য নতুন আইডিয়া পেয়ে গিয়েছি আমি।’ বোঝা গেল, সকল ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে উপহারে এত এত চকোলেট পাচ্ছেন যে, খেয়ে শেষ করাই দায়! বলা বাহুল্য, মজা করেই এমন ক্যাপশন মানসীর।
আরও পড়ুন: ꦗ‘স্বামী-স্ত্রীতে দিব্যি…’, সেহওয়াগ-আরতির ডিভোর্স কি হচ্ছে? মুখ খুললেন ‘দাদা’ সৌরভ
দেখুন মানসীর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিটি-

🅠দমদম নিমতার মেয়ে মানসী। সেখানেই ছোট থেকে বড় হওয়া। লেখাপড়া করেন ক্রাইস্টচার্চ স্কুলে। এরপর ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে স্নাতকপাশ করেন। গান শেখার শুরু মায়ের উৎসাহে। মাত্র চার বছর বয়স থেকে রেওয়াজ শুরু। এর আগে মানসী অংশগ্রহন করেছিলেন সুপার সিঙ্গার সিজন ৩-এ। তবে সেবার সেবারে ফাইনালে পৌঁছলেও জিততে পারেননি ট্রফি। বিজেতার মুকুট ওঠে সুচিস্মিতা চক্রবর্তীর মাথায়। দ্বিতীয় স্থানে আসেন মানসী।
আরও পড়ুন: ♔বেহাল হচ্ছে টিআরপি! গীতা-স্বস্তিকের হাল ফেরাতে এই নামি নায়িকা আসছে গীতা এলএলবিতে
🌺তবে ইন্ডিয়ান আইডলে বাংলার মেয়ে ছিলেন প্রথম থেকেই দর্শক ও বিচারকদের হট ফেভারিট। শো চলাকালীনই প্লে ব্যাক করে ফেলেছেন মানসী। ললিত পন্ডিতের আসন্ন ছবি মান্নু কেয়া কারোগে-তে প্লেব্যাক করেছেন। শুধু তাই নয়, সেখানে যুগলবন্দি করেছেন শানের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: 🥀‘আমার কাছে ব্যাপারটা অত্যন্ত অপমানজনক…নাম প্রকাশের দাবি রাখছি’, অরিন্দমকে পাল্টা দিলেন সুদীপ্তা
🀅পাশাপশি মানসীর বাদশা ও হিশাল দাদলানির সঙ্গে কাজেরও কথা রয়েছে। বিদেশে একাধিক স্টেজ শো-র বুকিংও হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মানসী সাক্ষাৎকারে।
ইন্ডিয়ান আইডল ১৫ সম্পর্কে:
💧ইন্ডিয়ান আইডল ১৫-এর সেরা পাঁচে ছিলেন তিন বাঙালি, মানসী ঘোষ, প্রিয়াংশু দত্ত, মানসী ঘোষ ও শুভজিৎ চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন স্নেহা শঙ্কর ও অনিরুদ্ধ সুরস্বম। তবে সকলকে হারিয়ে ট্রফি ওঠে মানসীর হাতে। এখানেই শেষ নয়, বাংলার আরেক সন্তান, খড়গপুরের ছেলে শুভজিৎ আসেন দ্বিতীয় স্থানে। আর তৃতীয় হন স্নেহা শঙ্কর। বিজেতা মানসীর হাতে ওঠে একটি গাড়ি, ট্রফি, আর ২৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শুভজিৎ ও স্নেহা পান ৫ লাখ টাকা।