অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নামটি একবার জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে তোলপাড় করেছিল। কারণ তাঁর বক্তব্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং একাধিক সামাজিক পদক্ষেপ তাঁকে পৃথক পরিচয় দিয়েছিল রাজনীতির ময়দানে। সেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবার হেরে গেলেন দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে। দল হারল, নিজে হারলেন, আসনটি বাঁচাতে পারলেন না। কিন্তু তার মানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাজনীতিতে শেষ হয়ে গেল এমন ভাবার কারণ নেই। এখন নতুন করে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে সেটা কেমনভাবে? সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। এবার কি তাঁকে রাজ্যসভাতে দেখা যাবে? রাজধানীর অলিন্দে এখন এই গুঞ্জনই তৈরি হয়েছে।
এখন রাজ্যসভায় দিল্লি এবং পঞ্জাব মিলিয়ে আম আদমি পার্টির ১০ জন সাংসদ আছেন। তার মধ্যে পঞ্জাবের সাতজন সাংসদ। সেখান থেকে একজন সাংসদকে পদত্যাগ করিয়ে নিজে সেই জায়গাতে রাজ্যসভায় আসতে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ফিরে আসতে জানেন। তাই এই পদক্ষেপ করতেই পারেন। রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে দিল্লির প্রত্যেকটি দরজায় কড়া নাড়তে পারেন তিনি। ভুল কিছু হয়ে থাকলে শুধরে নিতে পারেন। মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে ফেরাতে পারেন ভাবমূর্তি। আম আদমি পার্টির হাতে পঞ্জাব থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে সরিয়ে তিনি সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। কারণ তাহলে দিল্লিতে আপের অস্তিত্ব সংকট তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করল স্বাস্থ্যভবন, হেল্পলাইন নম্বর কলকাতা পুলিশের
বরং রাজ্যসভায় পৌঁছে সেখান থেকে পরিশ্রম করে নিজের দলকে আবার দিল্লির মসনদে বসাতে পারেন। রাজনীতিতে হার–জিত আছেই। এতদিন জিতেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার পরাজিত হয়েছেন। পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করে আবার দিল্লির মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারেন তিনি। এখন আম আদমি পার্টি দিল্লিতে প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু তিনি বিরোধী দলনেতা নন। হতেও চান না বলে সূত্রের খবর। সুতরাং একমাত্র রাস্তা খোলা আছে রাজ্যসভার সদস্য হওয়া। দিল্লির মোট ১৪টি আসনে যে ভোট কাটাকাটি হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে সেটাই বিজেপির টার্নিং পয়েন্ট। কংগ্রেস যদি সমর্থন করত আপকে তাহলে বিজেপি আজ হাসতে পারত না।