পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরেই হিমাচল প্রদেশজুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে।সব ঠিক আছে বলে দেখানো হলেও, উপত্যকায় সব যে ঠিক নেই, তা বোঝা গিয়েছে মঙ্গলবারই। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ মানুষের। স্থানীয়দের ছেড়ে বাইরে থেকে আসা লোকজনের উপর হামলা হতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। তারপরও কেন পর্যটকদের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর সেই আবহে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী হিমাচলের চাম্বা এবং কাংড়া জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে রাজ্য সরকার। (আরও পড়ুন: থরহরি কম্প! ভারতের 'আরও কঠোর' পদক্ষেপের শঙ্কায়♓ প্রাক্তন পাক হাইকমিশনার থেকে সেনা)
আরও পড়ুন: আত𝕴ঙ্কে যুদ্ধের প্রস্তুতি পাকিস্তানের? চলছে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, 🥃সতর্ক ভারতে
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু উপত্যকার হামলাকে 'কাপুরুষোচিত' আখ্যা দিয়ে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিশ𓆉েষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আমি পুলিশ কর্মীদের জম্মু ও কাশ্মীর সংলগ্ন সীমান্তে তাদের তৎপরতা আরও বাড়াতে বলেছি।' পাশাপাশি পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, 'সভ্য সমাজে এ ধরনের ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয় এবং সমাজবিরোধীদের যে কোন মূল্যে দমন করতে হবে। নিরাপত্তার গাফিলতির তদন্ত করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ঘটনাটি পর্যালোচনা করতে এসেছেন।' তিনি আরও বলেন, 'এই সময়ে আমরা মন থেকে নিহত এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।' হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল শিব প্রতাপ শুক্লা বলেন, 'যেভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তা কাপুরুষতার কাজ। আমার মনে হয় তারা মানুষ নয়।' প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি এবং প্রাক্তন সাংসদ প্রতিভা সিংও এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
🍬আরও পড়ুন-পহেলগাঁওয়ে ধাওয়া করে প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মীকে গুলি, বিবাহবার্ষিকী উদযাপনে গিয়ে নিহত ব্যক্তি
অন্যদিকে হিম🌳াচলের বিরোধীদলীয় নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেন, 'এই জঘন্য কাজ কেবল মানবতার উপর কলঙ্কই নয় বরং শান্তি ও সদিচ্ছা ধ্বংস করার একটি কাপুরুষোচিত প্রচেষ্টাও। কোনও সভ্য সমাজে এই ধরনের নৃশংসতা সহ্য করা যায় না।' পাশাপাশি জঙ্গিহানার নিন্দা করে বিজেপি সভাপতি রাজীব বিন্দাল বলেন, 'বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আশ্বস্ত করছি যে অপরাধীদের রেয়াত করা হবে না, আমরা তাদের শেষ করব। আমরা আমাদের নিরীহ নাগরিকদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেব না। সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সমর্থনকারীদের শরীর থেকে প্রবাহিত প্রতিটি রক্তের ফোঁটার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।'
আরও পড়ুন: পহেলগাঁওয়ে হামলা খবর কখন পায় থানা? কেন ধরা পড়েনি জঙ্ꦇগিরা? FIR-এ মিললജ যে তথ্য…
এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার𒊎 ঘটনায় প্রতিবাদে নেমেছেন হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দারা। জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিলাসপুর জেলার ঘুমারউইনের ব্যবসায়ীরা বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বাজার বন্ধ রেখেছিলেন। প্রায় সকলেই সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন।পাশাপাশি এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলও করছেন তাঁরা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, নিরীহদের হত্যার বিরুদ্ধে সেই মিছিল থেকে উঠছে স্লোগান। শিমলায়ও প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন মানুষ। রাজ্য বিজেপির সহ-প্রধান সঞ্জয় ট্যান্ডন এই প্রতিবাদে যোগ দেন। ট্যান্ডন বলেন, 'নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের উপর এই কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা মানবতার উপর আক্রমণ, যা কোনও অবস্থাতেই সহ্য করা যায় না।'