সদ্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘২০২৫ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড থ্রেট’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের কিছু দেশে সামরিক উপস্থিতি নিয়ে বিবেচনা করছে চিন, বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা ‘ডিফেন্স ইন্টালিজেন্স এজেন্সি’ দাবি করেছে, এমন এক প্রতিবেদন সদ্য প্রকাশ্যে আসে। এই বিস্ফোরক দাবি করা প্রতিবেদন সামনে আসতেই এবার মুখ খুলল চিন।
ভারতের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলে বাংলাদেশে কি সত্যিই চিন তার সামরিক ঘাঁটি গড়তে চলেছে? এই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে সদ্য প্রকাশিতে ওই মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট। এরপরই বাংলাদেশে অবস্থিত চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি জানিয়েছেন, ওই মার্কিন প্রতিবেদনে দেওয়া বাংলাদেশে চিনা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির কথা ‘অসত্য’। সদ্য বাংলাদেশের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চিনা রাষ্ট্রদূত ওই বার্তা দেন। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার, বাংলাদেশ থেকে চিনে যাচ্ছে আম। সেই উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। আমেরিকার ওই রিপোর্ট সম্পর্কে বেজিং-র অবস্থান জানতে চাওয়া হলে ইয়াও ওয়াং বলেন,' ওই প্রতিবেদনের তথ্য সত্য নয়। আমাদের এই ধরনের কোনো উদ্দেশ্য নেই। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমারের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমাদের বন্ধুত্বের ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছি।' বাংলাদেশে অবস্থিত চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন,' চিনের সামরিক উপস্থিতি থাকার কোনও প্রয়োজন আমি দেখি না। আর এটার জন্য আমাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। আমি জানি না এ প্রতিবেদনের উৎস কী। তবে আমি বলতে চাই, এটি সত্য নয়।'
( ফেডারাল আইন অনুমতি দেয় না! ট্রাম্পের ‘লিবারেশন ডে’ শুল্ক খেল মার্কিন কোর্টে ধাক্কা )
( মশা মারবে না বাংলাদেশের সেনা! কোন মন্তব্যের জেরে এল আর্মির বিজ্ঞপ্তি? ঢাকায় কী নিয়ে তোলপাড়)
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে চিন তার সামরিক উপস্থিতির কথা ভাবছে। এই দেশগুলির তালিকায় যেমন বাংলাদেশ রয়েছে তেমনই রয়েছে মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কিউবা, কেনিয়া, গিনি, সেশেলস, তানজানিয়া, অ্যাঙ্গোলা, নাইজেরিয়া, নামিবিয়া, মোজাম্বিক, গ্যাবন, পাপুয়া নিউগিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও তাজিকিস্তানের মতো দেশ। উল্লেখযোগ্যভাবে এই তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও নাম রয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতিবেশি তিন দেশেই চিনের এমন সামরিক আধিপত্যের নজর সত্যিই রয়েছে কি না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
এদিকে, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে এই মার্কিন রিপোর্ট সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সাফ জানান, এই প্রতিবেদন নিয়ে কিছুই জানেন না তিনি।