জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পরই ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে নয়াদিল্লি কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। তারমধ্যে অন্যতম হল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত।যার জেরে বড় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পাকিস্তানে। শিয়ালকোটের কাছে চেনাব নদীর স্যাটেলাইট ইমেজেই তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়েছে ভারতের সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিতের আগে এবং পরের অবস্থা।
আরও পড়ুন-আজমেরে বিলাসবহুল হোটেলে বিধ্বংসী আগুন! ঝাঁপ দিয়ে বাঁচতে গিয়ে মৃত ৪
উপগ্রহ থেকে তোলা শিয়ালকোটের কাছে চেনাব নদীর দুটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। একটি ছবি ২৬ এপ্রিল ২০২৫-এর। এই দিনই ভারত পাকিস্তানকে সিন্ধু জল চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল।সে দিন নদীতে জলের প্রবাহ দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ছবিটি ২৯ এপ্রিলের। ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে চেনাব নদীতে জল খুবই কম। এই ছবি পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।ইতিমধ্যে জল না পেলে, সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্ত বইবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো।
এর আগে ভারতীয় জলশক্তি মন্ত্রকের সচিব দেবশ্রী মুখার্জি কূটনৈতিক কড়া পদক্ষেপের চিঠি পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের জল সম্পদ মন্ত্রকের মন্ত্রী সৈয়দ আলি মুর্তজাকে। চিঠিতে বলা হয়েছে,'পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। সৎ বিশ্বাসে চুক্তি পালনের বাধ্যবাধকতা মৌলিক। তবে এই নীতি বজায় রাখার পরিবর্তে, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরকে লক্ষ্য করে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে চলেছে।' চিঠিতে আরও বলা হয়, 'পাকিস্তান চুক্তির আওতায় আলোচনা করার ভারতের অনুরোধের জবাব দিতে অস্বীকার করেছে। এটি চুক্তি লঙ্ঘন। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সিন্ধু জল চুক্তি ১৯৬০ তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত থাকবে।'
আরও পড়ুন-আজমেরে বিলাসবহুল হোটেলে বিধ্বংসী আগুন! ঝাঁপ দিয়ে বাঁচতে গিয়ে মৃত ৪
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বিশ্বব্যাঙ্ক এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল। এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদী এবং তার শাখা নদীর জল বণ্টন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে। সিন্ধু নদী ব্যবস্থায় প্রধান নদী সিন্ধু এবং তার শাখা নদীগুলি অন্তর্ভুক্ত। রাভি, বিয়াস, সতলুজ, ঝিলম এবং চেনাবের বাম তীরের শাখা নদী। কাবুল নদী ডান তীরের শাখা নদী। এটি ভারতীয় অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয় না। রাভি, বিয়াস এবং সতলুজকে একত্রে পূর্ব নদী বলা হয়। সিন্ধু, ঝিলম এবং চেনাবকে পশ্চিম নদী বলা হয়।