১৪ বছর বয়সি দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। তারপর তাকে নির্যাতন এবং বারবার গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে সুরক্ষা (POCSO) আইন এবং SC/ST (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে চারজন অভিযুক্ত - সলমন, জুবাইর, রশিদ এবং আরিফের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের 'হাতকড়া পরাতে' চলেছেন ট্রাম্প, বৈঠক হল ঢাকায়)
আরও পড়ুন: লন্ডনে জয়শঙ্করের ওপর খলিস্তানির হামলা, ছেঁড়া হল ভারতের পতাকা, দেখুন ভিডিয়ো
ভাগতপুর থানার এসএইচও সঞ্জয় কুমার পঞ্চাল জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর পরিবার তাদের অভিযোগে দাবি করেছে যে, 'অভিযুক্তরা অ্যাসিড দিয়ে তার হাতে 'ওম' চিহ্নের ট্যাটু করে দিয়েছে, জোর করে মাংস খেতে বাধ্য করেছে এবং আরও নির্যাতন করেছে।' অভিযোগ অনুযায়ী, ওই কিশোরীকে একটা ঘরে আটকে রেখে বারবার গণধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা তাকে এবং তার পরিবারকে ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার মার্কিন মুলুকে, ঘনাচ্ছে রহস্য)
কী ঘটেছে নির্যাতিতা কিশোরীর সঙ্গে?
নির্যাতিতার কাকা দাবি করেছেন, ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি তার ভাইজি একজন দর্জির কাছে যাওয়ার সময় অপহরণ হয়ে যায়। অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা গাড়িতে করে তাকে অপহরণ করে এবং মাদক দিয়ে অজ্ঞান করে দেয়। (আরও পড়ুন: আকাশ থেকে কৃষকের বাড়ির চাল ফুঁড়ে পড়ল অস্বাভিক ঘন বস্তু, রহস্যভেদে শুরু গবেষণা)
আরও পড়ুন: মাথায় হাত বাংলাদেশের, খিদের জ্বালায় কুঁকড়ে যাবে রোহিঙ্গারা
পরে তাকে ভোজপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং অন্য একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে কয়েকদিন আগে সে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। ওই কিশোরীর পরিবার আরও অভিযোগ করেছে যে, অভিযুক্তরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছিল। গ্রামীণ পুলিশ সুপার কুনওয়ার আকাশ সিংহ নিশ্চিত করেছেন যে, ভাগতপুর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পরে জেলে পাঠানো হয়েছে। ধৃতের নাম সলমন। তদন্ত চলছে।'