মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গত ১১ এপ্রিল ওয়াকফ সংশোধনীর বিরোধিতার নামে যে তাণ্ডব শুরু হয়েছিল, তা থেমেছে। হিংসার নতুন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে যা ঘটে গিয়েছে, তা নিয়ে সরব রয়েছে বিজেপি। গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজে সামশেরগঞ্জে গিয়েছিলেন। খুন হওয়া হরগোবিন্দ এবং চন্দন দাসের পরিবারের সঙ্গে তিনি দেখা করেছিলেন। এদিকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে বহু বাঙালির বাস। (আরও পড়ুন: যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক♈ুপিয়ে খুন, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে তদন্তে পুলিশ)
আরও পড়ুন: বিজ্ঞপ্তি জারি SSC-র🉐, চাকরিহারা শিক্ষকদের হাতে যেন 'ললিপপ' ধরಌানোর চেষ্টা
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ২ লক্ষেরও বেশি বাঙালি বসবাস করে। তাঁদের বংশধরদের বেশিরভাগই পূর্ব-পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন। এই আবহে উত্তরাখণ্ডের রাজনীতিতে বাঙালিদের একটা উল্লেখযোগ্য প্রভাব আছে। এহেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে বললেন, 'বাংলায় যে ধরণের ঘটনা ঘটছে, তাতে গোটা দেশ উত্তেজিত... ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের তোষণের রাজনীতি করছেন, তা আমাদের ১৯৪৭-৪৮ সালের কথা মনে করিয়ে দেয়... তারা ভুলে গেছে যে আজকের ভারত ১৯৪৭-৪৮ সালের ভারত নয়... শীঘ্রই মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুঁড়ে ফেলবে।' (আরও পড়ুন: 'পুলিশ আটকাতে পারলে আটকে দেখাক', SSC ভবনে ঢুকে টয়লেট করার হুঁশিয়রি চা⛎করিহারাদের)
আরও পড়ুন: রাত ১টার সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চাকরিহারা শিক্ষকদের, কী বললেন ডি✱সি?
এদিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে অবশ্য এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। সোমবার সেখানে স্কুল খুলেছে ১০ দিন পর। এদিকে মালদার স্কুলের আশ্রয় শিবিরে যে সব পরিবার ছিল, তাদের ২০ এপ্রিলই মুর্শিদাবাদে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে গেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এসপি আনন্দ রায় জানিয়েছেন, এখন সেখানে পরিস্থিতি শান্ত। সবই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ওয়াকফের নামে যে হিংসা ও তাণ্ডবলীলা চলেছিল, তাতে ১৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৯২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: হোটেলꦓ থেকে অর্ডার করা হয়েছিল খাবার, SSC ভবনে ঢুকতে দিলেন না চাকরিহারা শিক্ষকরা)
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে তা না নেওয়ার ঘোষণা করেন নিহতের পরিবা🀅র। এদিকে এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা প♌ালন করে বিএসএফ।
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধুলিয়ানে একটি❀ শপিংমলেও লুটপাট চালানো হয়েছিল। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এছাড়া জঙ্গিপুরের স💛াংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ।