কেষ্টহীন বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূম এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র দুটিতে ঘাসফুলই ফুটেছে। কিন্তু এখানে বিজেপিও ভাল ফল করেছে। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে এবার ভালই ফল করেছে বিজেপি। আর এই জয় আসার পরই দুবরাজপুর বিধানসভার অন্তর্গত খয়রাশোলে দলের ‘বেইমানদের’ উদ্দেশে কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শতাব্দী রায়। বুথ কর্মীদের সম্মাননা সভায় যোগ দিয়ে বেইমানদের তাড়ানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
চতুর্থবারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন সাংসদ শতাব্দী রায়। বুথ কর্মীদের সম্মাননা কর্মসূচি নিয়েছিল ছিল আজ, শনিবার। তাই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে খয়রাশোলের গোষ্ঠডাঙ্গার মাঠে বুথ কর্মীদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়, ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। আর সেখানেই সবার সামনে শতাব্দী রায় বলেন, ‘দলে থেকে যারা অন্য দলের হয়ে ভোট করিয়েছে তাদের দল থেকে তাড়াব।’
আরও পড়ুন: দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে নবান্ন–রাজভবন চাপানউতোর তুঙ্গে, বাড়ছে সংঘাতের আবহ
এই কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা একে অন্যের দিকে তাকাতে থাকেন। কারণ কেষ্টদা থাকতে এমন কখনও হয়নি। তাহলে কে করল এমন কাজ? তাও আবার সাংসদ নিজেই জানতে পেরে গিয়েছেন। দলের প্রথমসারির নেতাদের সামনেই এভাবে শতাব্দীর হুঙ্কারে তটস্থ হয়ে ওঠেন কর্মীরা। কার ঘাড়ে কোপ পড়বে সেটা কেউ এখনও বুঝতে পারছেন না। তবে এই হুঁশিয়ারির পর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কর্মীরা যোগাযোগ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শতাব্দীর বক্তব্য, ‘যারা দলে থেকে বেইমানি করেছে, তাদের আগে তাড়ানো হতো না।। এবার তাদের তাড়ানো হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের পদ আগলে থেকেও যারা বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার তাদের দল থেকে তাড়ানো হবে।’