এবার কথা ছিল কলকাতা পুরসভার সমবায় সমিতির নির্বাচন হওয়ার। কিন্তু তা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সুতরাং এই সমবায় সমিতির নির্বাচন এখন হচ্ছে না ধরেই এগোতে হবে। কলকাতা পুরসভার কয়েকজন অফিসার সূত্রে খবর, এই নির্বাচন যাতে স্থগিত হয়ে যায় তাই বামেরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল। সে দিক থেকে তারা সফল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার সমবায় সমিতিতে।
এদিকে রাজ্যজুড়ে নানা সমবায় সমিতির নির্বাচনে জিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস বা সমর্থিত সংগঠন। বিরোধীরা রীতিমতো সর্বত্র ধরাশায়ী। সেখানে আগামী ১৮ মে কলকাতা পুরসভার সমবায় সমিতি নির্বাচন হওয়ার দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু সেটা নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা হতে শুরু করে বলে সূত্রের খবর। অভিযোগ তোলা হয়, নির্বাচন করার নামে আসলে প্রহসন চলছে। কলকাতা হাইকোর্টেও এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করে বামেরা। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, বিরোধীদের এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা করতেই দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ‘মানুষকে এককাট্টা করার বদলে ভাগ করছে ধর্মের ভিত্তিতে বিজেপি’, তোপ সেলিমের
অন্যদিকে বামেরা নানা অভিযোগ তুলে সরব হয়। বামেদের শ্রমিক সংগঠন অভিযোগ তুলে সেটা কলকাতা হাইকোর্টে নিয়ে যায়। আর সেই মামলার শুনানিতে আপাতত ওই সমবায় সমিতির নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কর্মী সমবায় সমিতির নির্বাচন করতে চেয়ে ছুটির দিন রবিবারকে বেছে নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সেটা নিয়ে আপত্তি ছিল বামেদের। তার সঙ্গে আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বামেরা। তার জেরে গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম কর্মী সমবায় সমিতির নির্বাচন ছুটির দিন হওয়ার কথা ছিল।
এই সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে বামেরা অভিযোগ তোলে, মনোনয়নপত্র তোলা এবং জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ছুটির দিন কেন নির্বাচন হবে? এই নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারাই। এই সমবায় সমিতির ভোটকেন্দ্র করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর এলাকার একটি কমিউনিটি হলে। কেন সেখানে নির্বাচন কেন্দ্র করা হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলেই আপত্তি করে বামেরা। তাঁদের পাল্টা দাবি, কলকাতা পুরসভার মধ্যেই করতে হবে নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন বিরোধী সংগঠনগুলিকে ভোটার তালিকা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলেন সিটুর নেতারা। এই বিষয়ে কেএমসি ক্লার্কস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘এই রায় গণতান্ত্রিক মানুষের জয়। আমরা আগামীদিনে মানুষকে সঙ্গে নিয়েই লড়ব। নির্বাচন যাতে পুরসভার ভিতরেই হয় সেটা নিয়ে আমাদের লড়াই চলবে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, হেরে যাবে বলেই নানা ছুতো করছে বামেরা।