প্রꦑোটকল মেনেই বৃহস্পতিবার রাতে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমনই দাবি করলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। শুক্রবার দুপুরে তিনি দাবি করেন, বিকাশ ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের অধিকার রক্ষায় আন্দোলনাকরীদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় ১৯ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যে সমস্ত আন্দোলনাকরীরা হিংসা ও ভাঙচুরে প্ররোচনা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সুপ্রতীমবাবু বলেন, ‘গত ১০ দিন ধরে শিক্ষকরা সেখানে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। কোনও সমস্যা হয়নি। গতকাল সেখানে গেট ভেঙে আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢোকেন। তখন পুলিশ কোনও বাধা দেয়নি। আন্দোলনকারীদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাদের আবেগ পুলিশ বোঝে। বিকাশ ভবনে ঢুকে অবস্থান শুরু করেন তাঁরা। প্রায় ৭ ঘণ্টা অবস্থান চলে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররা গিয়ে তাঁদের বাไরবার বোঝানোর চেষ্টা করেন। কারণ বিকাশ ভবনে বহু সরকারি দফতর রয়েছে সেগুলো ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেও কর্মীরা সেখান থেকে বেরোতে পারছিলেন না। তাঁরাও সবাই সরকারি কর্মচারী। তাঁদের কারও বাড়িতে অসুস্থ মা রয়েছে। কাউকে ট্রেনে বা বাসে করে বাড়ি পৌঁছতে হয়। আমাদের কাছে তাঁরা বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অসহায় আবেদন জানাতে থাকেন। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে পদক্ষেপ করেছে।’
সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করে সুপ্রতীমবাবু বলেন, ‘যারা বলছেন এক্ষেত্রে𝕴 পুলিশের প্রোটোকল মানা হয়নি, তা ঠিক নয়। পুলিশ মাইকে করে অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। আমাদেꦰর কাছে সমস্ত ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে। পুলিশ সমস্ত প্রোটোকল মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় আমাদের ১৯ জন সহকর্মী আহত হয়েছেন।’