পাক রেঞ্জার্সের হাতে আটক বাংলার বিএসএফ জওয়ান। ইতিমধ্য়েই তাঁর স্ত্রী পাঠানকোট থেকে ঘুরে এসেছেন। সেখানে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা তাঁর স্বামীর মুক্তির জন্য় যেভাবে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা নিয়ে বার বার তিনি উল্লেখ করেছেন। অথচ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ একেবারে সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছেন। এখানেই প্রশ্ন স্ত্রী পাঠানকোটে গিয়ে যাবতীয় প্রক্রিয়া দেখে এসে আশ্বস্ত অথচ কুণাল ঘোষ বাংলায় বসে লিখছেন এই বিপন্ন ছেলেটিকে ফেরত আনার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে না কেন?
এখানেই প্রশ্ন আটক বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী যেখানে আশ্বস্ত সেখানে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ কীভাবে এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন? অনেকেরই প্রশ্ন, না জেনেই কি তিনি এই ধরনের মন্তব্য করছেন নাকি এই পরিস্থিতিতেও নেহাতই উসকে দেওয়ার জন্য সব জেনেও এই ধরনের মন্তব্য করছেন?
কী বলেছিলেন পাকিস্তানের হাতে আটক বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী?
অমৃতসর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমানে চড়ার আগে তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছিলেন, ফিরোজপুরে বিএসএফের কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করে তিনি আশ্বস্ত হয়েছেন।
তিনি ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অফিসাররা আমাকে বলেছেন পাক রেঞ্জার্সদের সঙ্গে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। একটা সমাধান মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে তাঁর স্বামী নিরাপদে রয়েছেন। তিনি সম্ভবত ফিরে আসবেন।
কলকাতায় ফিরে আসার পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিএসএফ অফিসাররা সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাঁরা বসে নেই। ক্য়াম্প করে যোগাযোগ রাখছেন। ফ্ল্যাগ মিটিং হচ্ছে। কী ধরনের আশ্বাস তিনি পেয়েছেন সেটাও জানিয়েছিলেন ওই বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী। সেই আশ্বাস পাওয়ার পরে তিনি ফিরে আসেন কলকাতায়।
অথচ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ যা উল্লেখ করেছেন তা হল,
"বড় বড় ডায়লগ ছাড়ুন, আগে পাকসেনার হাতে আটক থাকা বাংলার ছেলে জওয়ানটিকে ফিরিয়ে আনুন। মিডিয়া এই খবরে গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন? বিজেপি নেতাদের নানা হুঙ্কার, যুদ্ধজাহাজের মহড়া দেখিয়ে বাজার গরম চলছে; এই বিপন্ন ছেলেটিকে ফেরত আনার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে না কেন?'
এখানেই প্রশ্ন, বিপন্ন ছেলেটিকে ফেরত আনার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে না কেন? এটা কীভাবে জানতে পারলেন কুণাল? কারণ বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী তো সব দিক দেখে এসে বলছেন অন্য় কথা। বলছেন বিএসএফের প্রচেষ্টার কথা। অথচ কুণাল ঘোষ বলছেন ফেরত আনার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে না কেন?