টিকিট না কেটে যাওয়ার প্রবণতা বহু যাত্রীর আছে। এই টিকিট ফাঁকি ধরার জন্যই রেল থেকে টিটি নিয়োগ করে থাকে। কিন্তু মাঝে একটা অভিযোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সেটি হল—‘ভুয়ো টিটি’। ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক (টিটি) ঘু♋রে বেড়াতে শুরু করেছে নানা স্টেশনে। আর 💫তাদের হাতেই প্রতারিত হচ্ছেন যাত্রীরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ একইরকম পোশাক পরে তারা ট্রেনে উঠে পড়ছে। অন্যান্য স্টেশনগুলিতে দাঁড়িয়ে পড়ছে। এই অসাধু টিটি’র চক্র ভাঙতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিল শিয়ালদা ডিভিশন। টিকিট পরীক্ষকদের ইউনিফর্মে যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ব্যাজ। বিশেষ লোগোযুক্ত ওই ব্যাজ লাগানো বাধ্যতামূলক। এই ব্যাজের নকল হওয়া ঠেকাতেও ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে রেল।
নকল ঠেকাতে কী ব্যবস্থা থাকছে? প্রত্যেকটি ব্যাজের পিছনে থাকছে কিউআর কোড। যেটা স্ক্যান করলেই একজন টিকিট পরীক্ষকের ঠিকুজি কুষ্টি বেরিয়ে পড়বে। সমস্ত তথ্য মুহূর্তের মধ্যে সামনে চলে আসবে। এমনকী কোনও যাত্রীর সন্দেহ হলে কর্তব্যরত টিটি’র বৈধতা ‘ঘটনাস্থলেই’ যাচাই করে নিতে পারবে। ওখানে টিকিট পরীক্ষকদের নাম, আইডি নম্বর থেকে শুরু করে সমস্ত নথি দেখা যাবে। শিয়ালদা ডিভিশনে ২০৪টি স্টেশন আছে। আর টিকিট পরীক্ষক আছেন ৩৪৪ জন। এবার রাজীব সাক্সেনা, বিভাগীয় রেল ম্যানেজার (ডিআরএম), শিয়ালদা, শিয়ালদা বিভাগের সমস্ত টিকিট পরীক্ষক কর্মীদের জন্য এই বিশেষ লোগো যুক্ত পরিচয় ব্যাজ উন্মোচন 🦩করেছেন। এটাই এখন চর্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কেন বিজেপি ছাড়লেন? শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটালেন জন বারলা
রেলের দাবি ঠিক কী? পূর্ব রেলের দাবি, শিয়ালদা ডিভিশনেই টিকিট পরীক্ষকদের পোশাকের সঙ্গে এই কিউআর কোড যুক্ত ব্যাজ লাগানো প্রথম চালু হল। পোশাকে এই ব্যাজ না থাকলে টিকিট পরীক্ষকদের ডিউটি দেওয়া হবে না। সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুনভাবে নকশা করা এই ব্যাজ এখন থেকে সকল টিকিট পরীক্ষকদের জন্য ইউনিফর্মের একটি আবশ্যিক অংশ হবে এবং এটি ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে (ডিআরএম) শিয়ালদা। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।