রবিবার ভারতীয় দল এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর সেই ম্যাচের আগে সব থেকে বেশি চর্চায় দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পিচ। কারণ ২০২৩ বিশ্বকাপেও ভারতীয় দল সব ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠলেও আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামের ফাইনাল ম্যাচের পিচ ঠিকঠাক রিড না করতে পেরেই বিপদে পড়ে গেছিলেন রোহিত শর্মা, শেষ পর্যন্ত কাপ হাতছাড়া হয়। একই ভুল আর করতে চাইছে না ভারতীয় দল।
অনুশীলনে ফুটবল খেললেন কোহলিরা
আজ অর্থাৎ শনিবার ছিল ভারতের অপশনাল প্র্যাকটিস। শুক্রবারই ছিল ঠিকঠাক অনুশীলন। কারণ দুবাইয়ের মূল মাঠে এদিন অনুশীলন থাকায় এখানে নেট ছিল না। ফলে ব্যাটিং প্র্যাকটিসের তেমন সুযোগ ছিল না। এখানে ক্রিকেটাররা মুলত টিম বন্ডিংয়ের জন্যই মাঠে এসেছিলেন। আর এসেই তারা একটি ফিল্ডিং সেশন করেন এবং নিজেদের মধ্যে ফুটবলও খেলেন।
রোহিত-গম্ভীর-বিরাটের পিচ পর্যবেক্ষণ
ম্য়াচের আগের দিন রোহিত শর্মা এবং গৌতম গম্ভীর দীর্ঘক্ষণ পিচের কাছে গিয়ে আলোচনা সাড়লেন। রবিবারের ফাইনাল ম্যাচ হবে ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ হওয়া পিচেই। অর্থাৎ সেই পিচে স্পিনাররা খুব একটাও সুবিধা পায়নি। যেমনটা অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেয়েছিল ভারত। ফলে পাকিস্তান ম্যাচের পিচের ধরণ, চরিত্রকে মাথায় রেখেই গেমপ্ল্যান সেট করতে হবে রোহিতদের।
উইকেটে তেমন ঘাস নেই, সুবিধা স্পিনারদের?
দুবাইতে গরম বাড়ছে, পাকিস্তানের ম্যাচ যেদিন হয়েছিল তাঁর প্রায় দুই সপ্তাহ পরে ফাইনাল ম্যাচ হচ্ছে। তাই ম্যাচের আগের দিনও উইকেটে দল দেওয়া হল এবং বেশ কয়েরবার বোলিংয়ের পর ঢেকে দেওয়া হয়, যাতে সূর্যের তাপে তা বেশি ফেটে না যায়। ম্যাচের আগের দিন উইকেট একটু ফ্যাকাশে বা সাদা রংয়ের লাগছে, যার অর্থ পেসাররা তেমন সুবিধা পাবে আশা করা যায় না।
গিল বলছেন, বাকি ম্যাচের মতোই পিচ হবে ফাইনালে
রোহিত শর্মা-গৌতম গম্ভীর পিচের সামনে কথা বলার পর বিরাট কোহলিও অনেকক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে শুভমন গিল কিন্তু বলে দিলেন, ‘এখানকার পিচ ফাইনাল ম্যাচে আলাদা কোনও ব্যবহার করবে বলে মনে হয় না। যতই গরম হোক না কেন, আমার মনে হয় গোটা প্রতিযোগিতায় যেমন পিচ এতদিন দেখে এসেছি, তেমনই হয়ত পিচ থাকবে রবিবারের ম্যাচেও ’।