সম্প্রতি সুজন নীল মুখোপাধ্যায় তাঁর বাবার জন্মদিন উপলক্ষে একটি অদেখা ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। সেটা ভাইরাল হওয়ার পর এক ব্যক্তি নাট্য ব্যক্তিত্ব অরুণ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি পোস্ট করেন যেখানে দাবি করেন যে তিনি আর বেঁচে নেই। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিনেতা।
আরও পড়ুন: 'পেশির জোরের বদলে মগজের খেল' দেখাতে রক্তবীজ ২-তে খলনায়ক হয়ে আসছেন অঙ্কুশ! থাকছে আর কোন চমক?
কী ঘটেছে?
সদ্যই অরুণ মুখোপাধ্যায় ৮৮ বছরে পা দিয়েছেন। সেই উপলক্ষে তাঁদের বাবা ছেলের একটি নাটকে মহড়ার দৃশ্য পোস্ট করেন কিংবদন্তি নাট্য ব্যক্তিত্বের ছেলে, তথা অভিনেতা সুজন নীল মুখোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লেখেন, 'অরুণ মুখোপাধ্যায়ের ৮৮ তম জন্মদিন উদযাপন। জগন্নাথ নাটকের শেষ দৃশ্যের অভিনয় একসাথে। এক অকল্পনীয় অনুভূতি। এ আর হবে না,তাই ভাগীদার সবার সাথে... এটা থেকে যাক।'
এরপরই এদিন এক ব্যক্তি অরুণ মুখোপাধ্যায়ের একটি ছবি পোস্ট করে ফেসবুকের পাতায় লেখেন, 'অরুণ মুখোপাধ্যায় যেসব চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কাঞ্চনজঙ্ঘা, কোমলগান্ধার, সবুজ দ্বীপের রাজা, মোহনার দিকে, একান্ত আপন, মুক্তধারা ইত্যাদি৷ ‘পরুশুরাম’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৭৮ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান৷ ‘মনসুর মিয়াঁর ঘোড়া’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন বিএফজেএ এওয়ার্ড৷ অরুণ মুখোপাধ্যায়, আজ সশরীরে আমাদের মধ্যে না থাকলেও তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি বেঁচে রয়েছেন। অরুণ মুখোপাধ্যায় ১৬ ই ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। গতকাল ছিল তার জন্মবার্ষিকী। আজকের এই দিনে ওঁকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।' আর সেটা দেখেই যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন সুজন নীল। ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদে তাঁর ফেসবুকের পাতায় সেই বিতর্কিত পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, 'এই ভদ্রলোককে গ্ৰেপ্তার করা উচিত। একজন জীবন্ত কিংবদন্তি সম্পর্কে এরকম মূর্খতা? ইর্য়াকি হচ্ছে? মানুষ আর ছাগল এত সহজে এক হয় কি করে? ফেসবুক সংস্কৃতি র অন্যতম কুফল। মলমূত্র বিসর্জনের জন্য বাড়ির বাথরুম আছে, নিদেনপক্ষে ৫/১০ টাকার শৌচাগার। এভাবে নিজের কাপড় চোপড় এক করবেন না। কোন অধিকারে এটা লিখলেন? কেন লিখলেন? কিসের শ্রদ্ধা? মানুষ এতোটা ভুলভাল হতে পারে, তা কল্পনার অতীত, কোথায় এসে পড়লাম আমরা? অশিক্ষার অ্যাটম বোম, তৃতীয় সুর ও ষষ্ঠ সুরের বন্ধু। যান, মুখ লুকোন, পোস্ট ডিলিট করুন। এটা জঘন্য অপরাধ।'
আরও পড়ুন: পিসতুতো ভাই আদরের মেহেন্দিতে হাজির করিনা-করিশ্মা! পঞ্জাবি গানে নেচে আসর জমালেন আলিয়া-রণবীর
এই বিষয়ে অভিনেতা দ্য ওয়ালকে জানিয়েছেন, 'চারিদিকে এত অশিক্ষা কী আর বলব! আমি তাঁর জন্মদিন উদযাপন করছি একদিকে, আর অন্যদিকে আমার বাবাকে মেরে ফেলছেন। কী আশ্চর্য! বাবাকে নিয়ে এই বিভ্রান্তি প্রায়শই ঘটছে। কিন্তু এখন ব্যাপার্ট লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমার বাবা জীবিত। তাঁকে মেরে ফেলল? কেন?'