তিনি সব সময়ই প্রতিবাদী। যে কোনও ঘটনাতেই তাঁকে সরব হতে দেখা যায় তা এপার বাংলা হোক বা বাংলাদেশের। তিনি লেখিকা হিসেবে বেশি জিনপ্রিয়তা লাভ করলেও তিনি একজন চিকিৎসকও বটে। তাঁর সেই ডাক্তারি পড়ার সময়কার একটি ছবি শুক্রবার লেখিকা সমাজ মাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন। বুঝতে পারলেন তিনি কে? তিনি হলেন তসলিমা নাসরিন।
আরও পড়ুন: সাত-আট মাস ধরে কাজ নেই তনিমার হাতে! 'অনেকেই পিছনে লাগছে…', বললেন অভিনেত্রী
শুক্রবার সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখিকা তাঁর ডাক্তারি পড়ার সময়কার একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তাঁকে লাল পাড় কমলা রঙের একটি শাড়িতে দেখা যায়। তার উপর একটি এপ্রোন পরেছিলেন তিনি। ছবিটি পোস্ট করে তসলিমা নাসরিন লেখেন, 'মেডিকেল কলেজে জিন্স-শার্ট বা কামিজ-পাজামা পরতাম। শাড়ি কদাচিৎ। কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান হলেই। আমার সঙ্গে আমার সহপাঠী বান্ধবী সাফিনাজ। আমাদের সখ্য ছিল খুব। আমাদের এপ্রোন পরা ছবি খুব বেশি নেই।'
আরও পড়ুন: ছবি বানাতে পারবেন না পরম-অনির্বাণ-সুদেষ্ণারা? টেকনিশিয়ানদের ‘আজীবন অসহযোগিতা’ গুঞ্জন টলিপাড়ায়
তাঁর এই ছবি সমাজ মাধ্যমের পাতায় আসতেই অনুরাগীরা নানা মন্তব্যে ভরে দিয়েছেন। একজন লেখেন, 'কী সুন্দর।' আর একজন লেখেন, 'দুই দীর্ঘাঙ্গী ডাক্তারকে কী অপরূপ লাগছে! মধুর স্মৃতি।' আর এক নেটিজেন লেখেন, 'দুর্দান্ত সুন্দরী। এটা এখনকার ফ্যাশনের সঙ্গেও সামঞ্জস্য পূর্ণ। আসল হচ্ছে ব্যক্তিত্ব ও সপ্রতিভতা।' আর একজন লেখেন, 'খুব সুন্দর লাগছে। একজন হাসি মুখে একজন গম্ভীর কেন!'
প্রসঙ্গত, তসলিমা একজন বাংলাদেশি-সুইডিশ লেখিকা, চিকিৎসক, নারীবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ, মানবতাবাদী কর্মী। তিনি বিংশ শতাব্দীতে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন। তাঁর লেখায় বার বার উঠে এসেছে লিঙ্গসমতা, মুক্তচিন্তা, নাস্তিকতা। আর এই সব কারণেই ধার্মিকদের রোষানলে পড়েন তিনি। তাঁদের থেকে প্রাণহানির হুমকিও আসতে থাকে। শেষে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে বাধ্য হন। তিনি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে এক দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। তিনি ২০০৪ সালে ভারতে চলে আসেন। আপাতত দিল্লির বাসিন্দা। তাঁর বিখ্যাত সব রচনাগুলির মধ্যে অন্যতম ‘লজ্জা’, 'অতলে অন্তরীণ', 'বালিকার গোল্লাছুট' ও 'বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা' ইত্যাদি।