বহু যুগ ধরে দাবার আসর মন মজিয়েছে বহু তাবড় বোদ্ধার! তথ্য বলছে, দাবা খেলার ইতিহাস প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো। ভারতে এই খেলাকে এককালে ‘চতুরঙ্গ’ বলা হত। ভারত থেকে পা♋রস্য পর্যন্ত ছড়িয়েছিল এই খেলার মজা! তবে সদ্য বিশ্বের একটি দেশ এই দাবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আফগানিস্তানের তালিবান সরকার বর্তমানে দাবাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে। সেদেশের মনোরঞ্জন ও ক্রিড়া জগতে এটি আরও একটি পদক্ষেপ। সদ্য আফগানিস্তানের তালিবান মন্ত্রক এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে। ধর্মীয় কারণে সেদে𝓀শে বন্ধ রয়েছে দাবা খেলা। ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট বলঠে, তালিবানের দাবি এটি ইসলামিক আইনের ব্যাখ্যায় নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়। আর এই নিষেধাজ্ঞার জন্য ‘আফগানিস্তান চেস ফেডারেশন’ কেও বাতিল করা হয়েছে।
( দেশ জুড়ে ‘বয়কট টার্কি’ রব! তুরস্ককে ধাক্কা দিতে এ🐓বার ময়দানে ‘জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া’ও)
গত ১১ মে, তালিবানের সরকার জানিয়েছে, সেদেশে সমস্ত দাবা সম্পর্কিত কার্যক্রম বন্ধ🐈 থাকবে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসে আফগানিস্তানে। তারপর থেকেই সেদেশের আর্থ সামাজিক নানান বিষয়ে পদক্ষেপ করে তালিবান সরকার।
এদিকে, বিবিসি-র তথ্য বলছে, পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত এই দাবা খেলা নিষিদ্ধ থাকবে আফগানিস্তানে। রিপোর্টে বলা হচ♐্ছে, সেদেশে দাবা খেলা ঘিরে জুয়ার আসরের একটি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আফগানিস্তানে দাবা, জুয়ার উৎস হিসাবে উঠে আসায় সেদেশে তালিবান সরকার এমন পদক্ষেপ করেছে। এর আগে, আফগানিস্তানে ক্রীড়া জগতে মহিলাদের প্রবেশকে নিষিদ্ধ করা হয়। এবার আফগানিস্তানে তালিবান শাসনে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ল দাবা খেলা। জানা যাচ্ছে এই দাবা খেলা নিষিদ্ধের আগে, তালিবানের কাছে বহুবার তা নিষিদ্ধ না করার আবেদন জানিয়েছিল। তবে তাতে লাভের লাভ হয়নি।
উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, দাবা খেলার উৎসের সন্ধান ভারতেই পাওয়া গিয়েছౠে। ভারত থেকে এই খেলা ছড়িয়েছে পারস্যে। ধীরে ধীরে দাবার প্রসার ঘটে। পাল্টাতে থাকে খেলার ধরণ, পাল্টাতে থাকে খেলার ঘরানা।