রেজাউল এইচ লস্কর
ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুক্রবার পর্যালোচনা করেছে ভারত ও মলদ্বীপ।
নয়াদিল্লিতে বেসামরিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভারতীয় সামরিক কর্মীদের প্রতিস্থাপনের তদারকির জন্য দ্বিপাক্ষিক উচ্চ পর্যায়ের কোর গ্রুপের চতুর্থ বৈঠক। পাইলটসহ ৮০ জনেরও বেশি ভারতীয় সামরিক কর্মীকে প্রধানত মেডিকেল ইভাকুয়েশন এবং মানবিক ত্রাণ অভিযানের জন্য ব্যবহৃত তিনটি বিমান পরিচালনার জন্য মলদ্বীপে মোতায়েন করা হয়েছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈঠকে উভয় পক্ষ মলদ্বীপের জনগণকে মানবিক ও মেডেভ্যাক পরিষেবা সরবরাহকারী ভারতীয় বিমান চলাচল প্ল্যাটফর্মগুলির অব্যাহত পরিচালনা সক্ষম করার চলমান প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেছে।
মলদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার '১০ মে'র মধ্যে তিনটি বিমান প্ল্যাটফর্মের শেষের দিকের সামরিক কর্মীদের প্রতিস্থাপন করবে এবং সমস্ত লজিস্টিক ব্যবস্থা সময়সূচী অনুসারে এগিয়ে চলেছে।
এপ্রিলে মলদ্বীপ থেকে দুই ব্যাচের সামরিক কর্মী প্রত্যাহার করে নেয় এবং তাদের জায়গায় বেসামরিক বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করে। দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি বিমান পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মলদ্বীপে মোতায়েন করা হয়েছিল।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু, যিনি 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণার মাধ্যমে গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে তার দেশকে চিনের কাছাকাছি নিয়ে গেছেন, তিনি ১০ মে পর্যন্ত সব ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন।
চিকিৎসা পরিষেবা এবং খাদ্যদ্রব্য ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য শ্রীলঙ্কা, চিন ও তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করে মুইজু সামুদ্রিক সুরক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য সুরক্ষার মতো ক্ষেত্রে ভারতের উপর মলদ্বীপের নির্ভরতা হ্রাস করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, কোর গ্রুপ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ সহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছে।
মলদ্বীপের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উভয় পক্ষ বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পর্যালোচনা করেছে এবং উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মতো পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।