এবার দেশজুড়ে অনশনের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ১২ ঘণ্টার অনশনের ডাক। মূলত বাংলার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে অনশন আন্দোলনের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেটাও একেবারে সর্বভারতীয় স্তরে। দেশের সমস্ত রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তাররা এবার অনশনে বসবেন। অর্থাৎ এবার কেবলমাত্র বাংলাতেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তেমনটা নয়। এবার গোটা দেশজুড়ে অনশনে নামছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সর্বত্র অনশনে নামছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জাতীয় ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।
এদিকে ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশন বা ফেমা চিঠি দিয়েছে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। মূলত হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তারা। আর এবার একেবারে অনশনের ডাক।
মূলত আইএমএ জুনিয়র ডক্টরস নেটওয়ার্ক(জেডিএন) ও আইএমএ-এমএসএন ( মেডিক্যাল স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক) এর সদস্যরা এবার দেশজুড়ে আন্দোলনে নামছেন। আগামী মঙ্গলবার দেশজুড়ে অনশনের ডাক। দেশের সর্বত্র এই অনশন আন্দোলন হবে। জানিয়ে দিয়েছে সর্বভারতীয় স্তরে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন।
এদিকে শুক্রবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন আইএমএস প্রেসিডেন্ট আরভি অশোকান। তিনি ধর্মতলায় গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেও কথা বলেন। এদিকে রবিবার সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএর বেঙ্গল শাখা জেলায় জেলায় প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এই অনশন। রাত ৮টা পর্যন্ত এই অনশন চলবে। এবার মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সর্বভারতীয় স্তরে শুরু হবে অনশন।
এসবের মধ্যে চলছে চিকিৎসকদের গণইস্তফা। ‘গণইস্তফা’ দিলেন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ৭৭ জন সিনিয়র ডাক্তার। আজ, রবিবার হাসপাতালের রেজিস্ট্রারকে ইমেল করবেন তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইস্তফাপত্রে ৭৭ জনের সই আছে। এই ইমেল পাঠানোর পর সোমবার থেকে তাঁরা আর কাজে যোগ দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে এই গণইস্তফা নিয়েও সরকারের সঙ্গে সিনিয়র চিকিৎসকদের টানাপোড়েন চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন, ‘ডাক্তারদের গণইস্তফা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এটা কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগই নয়। যেখানে অভিযোগ লেখা নেই, শুধু কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসকদের সই রয়েছে। এভাবে কোনও পদত্যাগপত্র গৃহীত হতে পারে না।’
কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ডাক্তাররা লিখেছেন, ‘৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন করছেন। তাঁদের দাবিগুলি সাধারণ মানুষের উপকারের জন্যই। অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ভোগান্তি, যন্ত্রণা আমরা সহ্য করতে পারছি না। তাই আমরা ‘গণইস্তফা’র সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবার থেকে কার্যকর হবে।’