সদ্য ওয়াকফ ইস্যুতে সরগরম ছিল রাজ্যের একাংশ। রাজ্যবাসীর কাছে এবার শান্তির আবেদন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যবাসীর কাছে এ🐠ক লিখিত আবেদনের খোলা চিঠি পেশ করেছেন। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখছেন,'বিজেপি ও তাদের সঙ্গীরা পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ করে খুব আক্রমণাত্মক হয়ে গিয়েছে। এই সঙ্গীদের মধ্যে আরএসএস-ও আছে।'
গেরুয়া শিবিরের দিকে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর খোলা চিঠিতে লেখেন,'আমি আগে আরএসএস-র নাম নিইনি, তবে এবার বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছি যে, রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্যা প্রচার চলছে, তার মূলে তারাও আছে।' তিনি বলছেন,'প্ররোচনার সূত🔯্রে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতটিকে এরা ব্যবহার করছে। ব্যবহার করছে বিভেদের রাজনীতি করার জন্য। এরা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’-এর খেলা খেলতে চায়। এ খেলা বিপজ্জনক।'
রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়ে চিঠিতে মমতা বার্তা দেন,' আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিন্দা করি এবং তাদের রুখবই। দাঙ্গার পিছনে আছে যে দুর্বৃত্তরা, তাদের কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে। কিন্তু, সেইসঙ্গেই, পারস্পরিক অবিশ্বাসের বাতাবরণও আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, পরস্পরের ব্যাপারে সহমর্মী ও যত্নশীল হতে হবে।' হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে মমতার বার্তা,' আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিন্দা করি এবং তাদের রুখবই। দাঙ্গার পিছনে আছে যে দুর্বৃত্তরা, তাদের কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে। কিন্তু, সেইসঙ্গেই, পারস্পরিক অবিশ্বাসের বাতাবরণও আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, পরস্পরের ব্যাপারে সহমর্মী ও য𓆏ত্নশীল হতে হবে।' মমতা তাঁর খোলা চিঠইতে লিখছেন,' দাঙ্গা যারা ঘটায়, তারা হিন্দুও নয়, তারা মুসলমানও নয় দাঙ্গা বাধায় দুর্বৃত্তরা। সব অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড়া হবে না।’ তিনি বলছেন,' ঈর্ষার কোনও ওষুধ নেই। হিংসুটে লোকেরা তাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিপথের বাইরে যেতে পারে না। চাকরি, উন্নয়ন, সৃজনশীলতা, কিছুই ওই বিরোধীরা চায় না বা দিতে পারে না।'
বিজেপির দিকে তোপ দেগে দিদি বলেন,' ওদের একমাত্র উদ্দেশ্য মূল্যবৃদ্ধি, ওষুধের দাম বাড়ানো, হাসপাতালের খরচ এবং বিমার ব্যয় বাড়ানো, পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের মূꦏল্য বাড়িয়ে যাওয়া। জীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোই ওদের লক্ষ্য, তাই তারা বিভেদকামী প্রচারের আগুন জ্বালাতে চায়।' রাজ্যবাসীর কাছে ম🍌মতার আবেদন,' মিথ্যা সাম্প্রদায়িক প্রচারে বিপথগামী হবেন না। আসুন, আমরা মিলেমিশে একজোট হয়ে থাকি এবং ওদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়ি।'