হিংসার আগুন যে কত ভয়াবহ হতে পারে, গত কয়েকদিনের ঘটনাক্♏রমে তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা। কিন্তু, হিংসা যে চেনা মানুষকেও মুহূর্তে অচেনা করে দেয়, এবং সেই 'অচেনা' মানুষটা যে কতটা নৃশংস হতে পারে, তারই সাক্ষী হতে হল এই জেলার এক হতভাগ্য শিক্ষককে।
এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। জি ২৪ ঘণ্টা অনুসারে - এই এলাকার বাসিন্দা এক যুবক অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটি কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে তিনি স্কুলের ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। হিংসার আগুন গ্রাস করেছে তাঁর সেই সাধের কোচিং 💫সেন্টারটিকেও। পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে সবকিছু। তার থেকেও যেটা শোচনীয়, তা হল - যারা ওই কোচিং সেন্টারে ঢুকে ভাঙচুর, লুটপাট চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়, সেই হামলাকারীদের মধ্যে ওই শিক্ষকের কয়েকজন ছাত্রও𒁃 ছিল!
সংবাদমাধꦚ্যমে যে ছবি উঠে এসেছে, তা এককথায় ভয়াবহ। তাতে দেখা গিয়েছে, কোচিং সেন্টারে থাকা সমস্ত বই, খাতা, পড়াশোনার অন্যান্য সামগ্রী আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়𝄹েছে। সেন্টারের ভিতরে থাকা আলমারি ভেঙে দুমড়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে লকার।
ওই শিক্ষক🌱 সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি কোনও তাঁর কাছে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের মধ্য়ে কোনও ভেদাভেদ করেননি। তাদেরকে আগাগোড়া ভালো মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, সংশোধিত ওয়াকফ🧔 আইনের প্রতিবাদের নামে সেই শিক্ষকেরই কোচিং সেন্টারে হামলা চালানো হয়। সেই হামলাকারীদের দলে থাকা তাঁর ছাত্রদের হাতে বড় বড় ধারাল অস্ত্র দেখে আজ ভীত ও সন্ত্রস্ত ওই শিক্ষক।
তাঁর আশঙ্কা, তিনি যদি সময় থাকতে কোচিং সেন্টার ছেড়ে পালিয়ে না যেতেন, তাহলে হয়তো প্রাণে বাঁচতে পারতেন না! এমন ঘটনায় প্র🍸বল মানসিক আঘাত পেয়েছেন ওই শিক্ষক। তাঁর ছাত✱্ররা যে এমনটা করতে পারে, এটা যেন এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না তাঁর। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও প্রচার করা হচ্ছে। বঙ্গ বিজেপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ-এ এই ঘটনার প্রতিবেদন পোস্ট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুরে হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্য়েই অসংখ্য অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চিন্তার বিষয় হল, ধৃতদের মধ্যে বহু নাবালকও রয়েছে। কীভাবে এবং কেন তারা এমন ঘটনায় জড়িয়ে পড়ল, পুলিশ য๊ে তা জানার চেষ্টা করছে, তেমন ইঙ্গিত ইতিমধ্য়েই মিলেছে।
রাজ্য পুলিশের তরফে এই ঘটনার তদন্তের জন্য যে সিট গঠন করা হয়, সেই বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রথম বৈঠকে ধৃত নাবালকদের জেরা করে হিংসার ☂মূলচক্রীদের চিহ্নিত করার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ দাবি করছে।