দিলীপ ঘোষ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দিলীপ ঘোষের এই কাজকে মোটেও সমর্থন করতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদাররা। এরই মাঝে আজ সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীর ঘোষ। নিজের চাঁচাছোলা ভঙ্গিতেই জবাব দেন। আর দলের একাংশকে দিলীপের এই তোপ দাগার বিষয়টি বেশ উপভোগ করেছেন কুণাল ঘোষ। তা নিয়ে ফেসবুকে কার্যত 'অ্যাপ্রিসিয়েশন পোস্ট' বা প্রশংসাসূচক বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। এরই সঙ্গে দিলীপ ঘোষের স্ত্রীর একটি কমেন্টের বিষয়ও তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। (আরও পড়ুন: '... ওই নীতিকে ঘৃণা করি', মমতার সাক্ষাতের পর আজ সকালে ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ)
আরও পড়ুন: সব পাক নাগরিক দেশ ছাড়লেও তিনি আছেন ভারতেই, পহেলগাঁও হামলায় নাম জড়াল সেই সীমার?
নিজের পোস্টে আজ কুণাল ঘোষ লেখেন - দিঘায় আজ সমুদ্রের গর্জনকে ছাপিয়ে গেল দিলীপ ঘোষের গর্জন। বিজেপির একাংশকে ধুয়ে দিলেন তিনি। তিনি বলেন - আমার এত বছরের সাধনার জীবন, যারা নিজেদের ধান্দায় অন্য দল থেকে এসেছে, তাদের কাছে বিজেপি শিখব না। যারা মমতা ব্যানার্জির আঁচলে বড় হয়েছে, তারা নিজেদের ধান্দায় বিজেপিতে এসেছে। বিজেপিকে যে সাফল্য এনে দিয়েছিলাম, এখন সেসব নেই কেন? জনপ্রতিনিধি কমছে। বিজেপির স্বাদ চলে গেছে। ২০২১ থেকে জেতার অভ্যেস চলে গেছে দলের। মানুষ ভরসা রাখতে পারছেন না। অন্য দল থেকে অনেকে কামাতে এসেছেন। করে খাচ্ছেন। সৌজন্য আর লড়াই আলাদা। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজি যে মমতা ব্যানার্জির মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে এসেছিলেন, আমি সেই সংস্কৃতির লোক। অপসংস্কৃতি ঢুকে দলটার ক্ষতি করছে। যারা চারটে বিয়ে করে, দিনের জীবন রাতের জীবন আলাদা, তারা ত্যাগীভোগীর জ্ঞান দিচ্ছে। যারা আজ অন্য দল থেকে এসে জ্ঞান দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়েই দলকে বড় করেছিলাম। হিন্দু, সনাতন যারা বলছে, এতদিন কোথায় ছিল? কী তাদের অবদান? বিজেপি কর্মীরা হতাশ হবেন না। বিশ্বাস রাখুন। যতদিন বিশ্বাস ছিল, দল এগিয়েছে। সন্দেহের পরিবেশ ঢুকেই দলের ক্ষতি হচ্ছে। আমার গা কাটলে বিজেপির রক্ত বেরোবে। বিজেপিতে থাকব। বিজেপি যতদিন কাজ দেবে করব। আমি মানুষের মধ্যে থাকি।' এরপর কুণাল আরও লেখেন, 'ওদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক কুৎসাকারীর পোস্টে কমেন্ট করে সেটাকেও ধুয়ে দিয়েছেন দিলীপবাবুর স্ত্রী রিঙ্কু। কার টাকায় এসব করেন বলে প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন।' (আরও পড়ুন: অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের ইট গাঁথবে পাক সেনা, দাবি সেনেটরের, কে এই পলওয়াশা?)
উল্লেখ্য, নাম না করে এখানে দিলীপ ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকেই তোপ দাগেন আজ সকালে। আদতে শুভেন্দু আসার পরই ক্রমে বঙ্গ বিজেপিতে কোণঠাসা হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এখন তিনি দলের কোনও পদে নেই। এরই মাঝে মমতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতে দলবদলের পর্যন্ত জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি বিজেপিতেই থাকবেন। এদিকে কুণালের পোস্টের তলায় অনেকেই দাবি করেছেন, আগামীতে দিলীপ ঘোষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। আবার অনেরক বাম সমর্থক দাবি করেছেন, এটাই 'বিজেমূল'।