কলকাতা ও চেন্নাইয়ের পরে রাজকোটেও ইংল্য়ান্ডকে স্পিন অস্ত্রে ঘায়েল করতে চেয়েছিল ভারত। তবে কার্যকরী হয়নি তাদের সেই পরিকল্পনা। চালে ভুল হয়ে যায় শিশির ম্যাচে তেমন একটা প্রভাব না ফেলায়। অথচ রাজকোটে একটা সময় ম্যাচে চালকের ꦕআসনে দেখাচ্ছিল টিম ইন্ডিয়াকেই। ইংল্যান্ড যখন ১২৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, একবারের জন্যও মনে হয়নি ব্রিটিশরা ২০ ওভারে ১৭০ রানের গণ্ডি টপকে যাবে। যদিও ঠিক সেটাই হয় এবং ভারতের ম্যাচ হারের অন্যতম বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায় সস্তায় ইংল্যান্ডের লেজ ছাঁটতে না পারা।
ম্যাচের শেষে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার মেনেও নেন সেকথা। তাঁর দাবি, ১২৭ রানে ဣ৮ উইকেট থেকে ইংল্যান্ডকে ১৭০ টপকাতে দেওয়াটা বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। তবু ভারত ম্যাচে টিকে ছিল বলে দাবি করেন সূর্য। যখন ৪ ওভারে ৬৪ রান বাকি ছিল, তখনও নাকি তাঁর মনে হয়েছিল ভারত লড়াইয়ে রয়েছে।
নিজেদের ব্যর্থতার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য আদিল রশিদকেও কৃতিত্ব দেন ভারত অধিনায়ক। মাঝের ওভারে কৃপণ বোলিং করে রশিদই ভারতের কাছ থেকে ম্যাচ দূরে সরিয়ে নিয়ে যান বলে দাবি সূর্যর। সেই দাবি অমূলক নয়। ক🅠েননা রশিদ ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন।
রশিদকে কৃতিত্ব সূর্যকুমারের
চার স্পিনার নিয়ে দল সাজানো ও টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সূর্যকুমার জানান যে, তিনি ভেবেছিলেন রাতের 🏅দিকে শিশির সমস্যা দেখা দেবে। তাঁর কথায়, ‘ভেবেছিলাম পরের দিকে শিশির পড়তে পারে। যখন অক্ষর আর হার্দিক ব্যাট করছিল, আমার মনে হয় তখনও ম্যাচে ছিলাম। তবে আদিল রশিদকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। ও সত্যিই দারুণ বল করেছে। সেই কারণ𓆏েই ও বিশ্বমানের বোলার। ও আমাদের (ব্যাটারদের) প্রান্ত বদল করতেও দেয়নি।’
সূর্যকুমার মেনে নিতে কুণ্ঠা বোধ করেননি যে, স্পিনারদের দিয়েই বাজিমাত করতে চেয়েছিলেন তাঁরা এবং সেই কারণেই দলে এত বেশি স্পিনার নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, চেন্নাইয়ের মতো রাজকোটেও ভারত চার স্পিনারে দল🌳 সাজায়। অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে ভারতের স্পিন আক্রমণে ছিলেন রবি বিষ্ণোই ও ওয়াশিংটন সুন্দর। যদিও তার পরেও পার্টটাইম স্পিনার হিসেবে অভিষেক শর্মাকে ব্যবহার করতে হয় ভারতকে।
সূর্যকুমার পরক্ষণেই বলেন, ‘আমরা টি-২০ ম্✨যাচ থেকে সর্বদাই কিছু না কিছু শিখি। ১২৭ꦉ রানে ৮ উইকেট থেকে ১৭০ খরচ করা বাড়াবাড়ি। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও আমরা বেশ কিছু বিষয় শিখেছি।’
শেষে মহম্মদ শামি ও বরুণ চক্রবর্তীর প্রশংসা শোনা যায় ভারত অধিনায়ক🍸ের মুখে। সূর্য বলেন, ‘শামিকে (কামব্যাকে) এমন বল করতে দেখা দারুণ বিষয়। বরুণ চক্রবর্তী সর্বদাই কঠিন পরিশ্রম করে। ও অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ। যার সুফল পাচ্ছে ও।’