বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন মহলে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরের সমীকরণ নিয়ে। আইএসআই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এক উচ্চপদস্থ সেনা কর্তার নাম নিয়ে অনেকেই দাবি করছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামানের বিরুদ্ধে নাকি ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা চলছে। এদিকে সম্প্রতি ওয়াকার নিজেও বাংলদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে একটি বকৃতা রেখেছিলেন। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এই সবের মাঝেই এবার ভারত ও বাংলাদেশ সেনার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। (আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ ও করিমনগরে ভারতীয় ফ্যানদের ওপর পুলিশের লাঠিচাಌর্জের অভিযোগ)
আরও পড়ুন: 'দলে থাকা উচিত না',ꦺ বলেছিলেন রোহিতকে নিয়ে, এবার সৌগতর দাবি - 'অবসর নিয়ে নিক'
জেনারেল দ্বিবেদী সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডের অনুষ্ঠানে বলেন, 'ভারত ও বাংলাদেশের সেনার মধ্যে সম্পর্ক এই মুহূর্তে অত্যন্ত শক্তিশালী।' এরই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে মন্তব্য করেন, 'ভারতের কোনও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে যদি পাকিস্তানের সম্পর্ক থাকে, তাহলে তা উদ্বেগের বিষয় বটে। কারণ, সন্ত্রাসবাদের যে শিকড় রয়েছে, সেই শিকড় সেই দেশ থেকেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এটাই আমার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।' বাংলাদেশ-পাক সম্পর্ক নিয়ে অবশ্য জেনারেল দ্বিবেদী আরও বলেন, 'এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য যথেষ্ট সময় এখনও হয়নি। আগে একটি নির্বাচিত সরকার আসুক, তারপর দেখা যাক সম্পর্ক কোনো দিকে যায়। তারপর দেখা যাবে কী করা যায়।' (আরও পড়ুন: ভুবনেশ্𒀰বরে ধরা পড়ল ১০ বাংলাদ꧙েশি অনুপ্রবেশকারী, কীভাবে ভারতে ঢুকেছিল তারা?)
আরও পড়ুন: সেই 'মোটা' রোহিতের পুল শটেই 'আউট' শামা, ভারতের CT জয়ের পর কংগ🌞্রেস নেত্রী বললেন…
এদিকে ভারত-বাংলাদেশ সেনার মধ্যকার সমীকরণ নিয়ে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, 'বর্তমানে ভারতের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। আমরা নিয়মিত নিজেদের মধ্যে নোটস আদান–প্রদান করি। যাতে নিজেদের মধ্যে কোনও বিষয়ে সন্দেহ তৈরি না হয়, তার জন্যেই এটা করা হয়।' (আরও পড়ুন: খ✱ুশির রাতে ধুন্ধুমার, ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় উদযাপনের মিছিলে ছোড়া হল পাথর)
অপরদিকে এই অনুষ্ঠানেই চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ইস্যুতে সেনা প্রধান বলেন, 'চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশ আছে, তা অস্বীকার করার কোনও অবকাশ নেই। দু’দিক থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে, এটা সত্যি।' এর পাশাপাশি কাশ্মীরের অবস্থা প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বলেন, পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশ থামছে না। তবে ভারতের দিকে তরুণ কাশ্মীরিদের জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার হার অনেক কমেছে। জেনারেল উপেন্দ্র জানান, ২০১৮ সালের পর থেকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের পরিমাণ ৮৩ শতাংশ কমেছে। গত বছরে কাশ্মীরে যত জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। তাঁর কথায়, 'পাকিস্তান জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পরিণত হোক, সেটা চাই না। আমরা চাই💎 পাকিস্তানে স্থিতাবস্থা👍 বজায় থাকুক।'