২০২০ সালে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে অবস্থা ছিল, সেই জায়গাতেই ফিরে যাবে কিনা; সম্প্রতি টহলদারির জন্য যে ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হয়েছে, সেটার কী হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেসপ্যাং এবং ডেমচক এলাকা থেকে টহলদারি নিয়ে ভারত এবং চিন ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এরই মাঝে এলএসি থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মুখ খুললেন ভারতী সেনা প্রধান। এই বিষয়ে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী স্পষ্ট করে দিলেন, '২০২০ সালের স্থিতাবস্থায় ফিরে আসার পরই ভারতীয় বাহিনী লাদাখে পিছু হটবে।' (আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনার টহল নিয়ে কাটল জট, কী বলছে চিন?)
আরও পড়ুন: চতুর্থ পারমাণবিক সাবমেরিন জলে নামাল ভারত, নিউক্লিয়ার মিসাইলের রেঞ্জ ৩৫০০ কিমি
জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, 'চিনের সাথে ফের বিশ্বাস স্থাপনের চেষ্টা করছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। তারাই নিজেদের আক্রমণাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে এলএসিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। আমরা ২০২০ সালের এপ্রিলের স্থিতাবস্থায় ফিরে যেতে চাই। এরপরে আমরা ডিসএনগেজমেন্ট, ডি-এসকেলেশন এবং এলএসির স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেব। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে এটাই আমাদের অবস্থান। এখনও পর্যন্ত আমরা আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এটি তখনই ঘটবে যখন আমরা একে অপরকে দেখতে সক্ষম হব এবং আমরা একে অপরকে আশ্বস্ত করতে সক্ষম হব যে আমরা বাফার জোনে যাচ্ছি না।' (আরও পড়ুন: পাক সফরকালে কেমন কেটেছিল সময়? অকপট জয়শংকর বললেন...)
আরও পড়ুন: নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হামলার হুমকি পান্নুনের, কী বললেন জয়শংকর?
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কাটতে চলেছে। এই নিয়ে সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, 'গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে আলোচনা চলেছে, সেটার ফলস্বরূপ ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা প্যাট্রলিং নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দু’দেশ।' যদিও কোন কোন বিষয় নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে, তা খোলসা করে বলেননি মিসরি। এরই মধ্যে ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ডেপস্যাঙে ভারতের টহলের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিন। উল্লেখ্য, ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হল, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ডেমচকে এর আগে চিন তাঁবু খাটিয়ে বসেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ভারতীয় দিকে। তবে সেই সমস্যা কিছু দিন আগেই মিটেছে। তবে এরই মধ্যে ডেপস্যাঙের সমস্যারও সমাধাম সূত্র বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছে চিনা সেনা। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে। এদিকে ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে অবস্থা ছিল, সেই জায়গাতেই ফিরে যাবে কিনা; সম্প্রতি টহলদারির জন্য যে ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হয়েছে, সেটার কী হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেসপ্যাং এবং ডেমচক এলাকা থেকে টহলদারি নিয়ে ভারত এবং চিন ঐক্যমতে পৌঁছেছে। তবে তাতে ২০২০ সালের আগের স্থিতাবস্থা ফিরছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।