সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি এবং বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বি🍌স্ফোরক সব মন্তব্য করে চর্চায় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এহেন নিশিকান্তকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক পোস্ট তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। অবশ্য কৃষ্ণনগরের সাংসদ সরাসরি কারও নাম নেননি। তবে বিচার ব্যবস্থার ওপর নিশিকান্তের আক্রমণাত্মক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মহুয়া বলেন, 'এহেন অজ্ঞরা ভারত শাসন করায় দেশের সবচেয়ে খারাপ সময় এটাই।' এদিকে কটাক্ষের সুরে মহুয়া আজ নিজের পোস্টে লেখেন, 'মালিকের কথা ছাড়া পিটবুল কোও কিছু করে না।' এখানে তিনি অবশ্য কারও নাম নেননি।
মহুয়া মৈত্র নিজের পোস্টে লেখেন, 'মনে রাখবেন - মালিকের কথা ছাড়া পিটবুল কোও কিছু করে না। বিচার ব্যবস্থার ওপরে বিজেপির এই প্রচ্ছন্ন ছায়া যুদ্ধ গোটা দেশ দেখছে। বেঞ্চকে অপমান করার নির্লজ্জ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এহেন অজ্ঞরা ভারত শাসন করায় দেশের সবচেয়ে খারাপ সময় এটাই।' প্রসঙ্গত, নিশিকান্তে💞র সঙ্গে মহুয়ার দ্বন্দ্ব বহুদিনের। এর আগে সাংসদদের পোর্টালের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করার মামলায় মহুয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন নিশিকান্ত। সেই মামলার জল গড়িয়েছিল আদালতেও। এদিকে, নিশিকান্তের কোন বক্তব্য নিয়ে এখন এত বিতর্ক? বার্তাসংস্থা এএনআইকে নিশিকান্ত দুবে বলেন, 'দেশে ধর্মীয় যুদ্ধ উস্কে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট দায়ী। সুপ্রিম কোর্ট তার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যদি সবকিছুর জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়, তাহলে সংসদ এবং রাজ্যের বিধানসভাগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।'
এছাড়াও বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন, 'নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে আপনি কীভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন? রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন। সংসদ এই দেশের আইন প্রণয়ন করে। আপনি কি সেই সংসদকে নির্দেশ দেবেন?... আপনি কীভাবে একটি নতুন আইন তৈরি করছেন? কোন আইনে লেখা আছে যে রাষ্ট্রপতিকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে? এর মানে হল আপনি এই দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে চান। যখন সংসদ বসবে, তখন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।' এদিকে ৩৭৭ ধারা সংক্রান্ত ইস্যু নি🉐য়েও মন্তব্য করেন নিশিকান্ত। তিনি বলেন, 'সংবিধানের ৩৭৭ ধারায় সমকামিতাকে একটি বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে যে এই পৃথিবীতে মাত্র দুটি লিঙ্গ আছে, হয় পুরুষ না হয় মহিলা... হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন বা শিখ, সকলেই বিশ্বাস করে যে সমকামিতা একটি অপরাধ। এক সুন্দর সকালে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে আমরা এই মামলাটি বাতিল করছি... ধারা ১৪১ বলছে যে আমরা যে আইন তৈরি করি, যে রায় দিই, তা নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত প্রযোজ্য। ৩৬৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সংসদের সকল আইন প্রণয়নের অধিকার রয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের আইন ব্যাখ্যা করার অধিকার রয়েছে।'