ওয়াকফ হিংসায় মুর্শিদাবাদ জ্বলেছে গত ১১ এবং ১২ এপ্রিল। এখনও সেখানে পরিস্থিতি থমথমে। এই আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার আঙুল তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। এমনকী মালদার শিবিরে থাকা ঘরছাড়ারা অভিযোগ করছেন, পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁদেরকে নাকি কার্যত সেই পারলালপুর স্কুলে আটক করে রাখা হয়েছে। মিডিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না সেখানে। কাউকে নাকি বের হতেও দেওয়া হচ্ছে না। আর এই রাজ্যে পুলিশমন্ত্রী খোদ মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। এই আবহে ক্ষোভ জমছে তাঁর বিরুদ্ধে। এহেন পরিস্থিতিতে আজ উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: 'যৌন নিপীড়নও হয়েছে', ঘরছাড়াদের মুখে ওয়াকফ হিংসার কথা শুনে বিস্ফোরক জꦛাতীয় মহিলা কমিশন)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন🍰্দু ꦐনেতার খুনে ইউনুসের সরকারকে কড়া ধমক 'মর্মাহত' ভারতের
মিছিল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে 'হুঁশে ফেরার' বার্তা দেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে স্লোগান ওঠে - 'হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে', 'হিন্দুদের অপমান চলবে না', 'হিন্দুদের হুঙ্কার, আর সহ্য করব না এই অত্যাচার'। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াকফ ইস্যুতে ইমামদের সম্মেলনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, 'যোগী সবচেয়ে বড় ভোগী'। আকর এবার সেই যোগী রাজ্যে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। (আরও পড়ুন: ৫০ মিটার দূরে চলছে ওয়াকফ প্রতিবাদ, মন্দির পাহারায় ফুরফুরার প🧔ীর🀅জাদা)
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে ꧒মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে তা না নেওয়ার ঘোষণা করেন নিহতের পরিবার। এদিকে এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ।
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে 🐷ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলেও লুটপাট চালানো হয়েছিল। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এছাড়া জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।