প্রবল গরমে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। বর্ষা আসতে আর বেশি দেরি নেই। সাধারণত বর্ষায় এলেই মালদা জে🌺লার বিস্তীর্ণ এলাকায় নদীপাড় ভাঙনের সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। যার ফলে প্লাবিত হয় একাধিক এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে বর্ষায় এমনই ছবি দেখা যায় মালদা জেলায়। এই অবস্থায় ভাঙন প্রবণ মালদায় বন্যা পরিস্থ🌺িতি মোকাবিলা করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিল জেলা প্রশাসন। প্রাক-বর্ষার প্রস্তুতি বৈঠক করল মালদা জেলা প্রশাসন। এ মাসের শেষের দিকে ফের বৈঠকে বসবে মালদা জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন নিয়♛ে মমতা–মোদীকে স্মারকলিপি শুভঙ্করের,ꦏ কড়া জবাব দিলেন মন্ত্রী মানস
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি যে প্রাক-বর্ষা প্রস্তুতি বৈঠক শুরু হয়েছে, তাতে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে তাপপ্রবাহ ও জলসংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লিফলেট বিলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ জায়গায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে সচেতনতা বাড়ান🐻োর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি জলসংকট মেটাতেও একাধিক উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে । সাধারণত বর্ষায় মালদা জেলায় গঙ্গা নদীর ভাঙন হল বড় চিন্তার কারণ। সাধারণত প্রতিবছর জুন মাসের প্রথম থেকে মাঝামাঝিღ সময়ে রাজ্যে বর্ষা ঢুকে যায়। এই অবস্থায় পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মে মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে যে বৈঠক হবে, তাতে সমস্ত দফতর, পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসনকে নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, মালদা জেলায় ভাঙনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যে ব্লকগুলি রয়েছে, সেগুলি হল মানিকচক, রতুয়া-১, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ এবং বামনগোলা, কালিয়াচক ও ইংরেজবাজার। এই ♒এলাকাগুলোকে বন্যাপ্রবণ হিসেবে ধরা হয়। গত কয়েক বছরের𝓀 অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এখানে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই, বন্যা মোকাবিলায় জেলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিভিল ডিফে꧑ন্স ভলান্টিয়ার আছেন প্রায় ৩২৬🔯 জন। এছাড়াও, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতরের কাছে রয়েছে প্রায় পাঁচটি স্পিড বোট রয়েছে। জানা যাচ্ছে, বন্যা প্রবণ ব্লকগুলিতে স্পিড বোট রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে নৌকা। ক্যুইক রেসপন্স টিম থেকে শুরু করে লাইফ জ্যাকেট এবং ওয়াটার উইং টিম রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।