ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ꩲআবহে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা সহ বহু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে শুরু🍸 করে বিমানবন্দরের জারি করা হয়েছে সতর্কতা। এই আবহে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, কারখানা, বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হল। সূত্রের খবর, সবমিলিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘ভাইটাল ইনস্টলেশন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান শান্তি চায়..’, বলেই গালভরা হুমকির💦 বন্যা পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের!
গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, এই জায়গাগুলিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি স্কুলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত, তা নিয়ে মক ড্রিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপে সন্ধ্যায় কিছুক্ষণের জন্য ব্লাকআউট করা হয়। তারপরে পুরো এলা൩কা অন্ধকারে ঢেকে যায়।
সূত্র অনুযায়ী, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে এর আগে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হিসেবে সর্তকতা নেওয়া হয়েছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধে। অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান ভারতের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পাকিস্তা♑নꦺের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেই উত্তেজনাপূর্ণ আবহে এবার শেষ সতর্কতা নেওয়া হল আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে।
এলাকার বয়স্ক নাগরিকদের কথায়, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় দুর্গাপুর স্টিল প্ཧলান্ট এবং অন্যান্য বড় কারখানাগুলিকে কালো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। কাচের জানলা কালো কাগজ ঢেকে দেও🧜য়া হয়েছিল। যদি এবার সেইসব প্রস্তুতি নেই বলে জানাচ্ছেন প্রবীর নাগরিকরা। তাঁদের অনেকের কথাটি, এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এসেছে। ফলে প্রস্তুতির ধরনও বদলেছে।
প্রসঙ্গত, আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে আরও অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ভারতের বিরাট অংশে বিদ্যুৎ উ🐬ৎপাদনের জন্য কয়লার জোগান দেওয়া হয় এই এলাকা থেকে। এছাড়াও, আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্ব রয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের গুরুত্ব আছে। যদিও ইসিএলের তরফে কয়লা উত্তোলন এবং পরিবহণ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানাচ্ছেন সংস্থার আধিকারিকরা।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হলে সেই অনুযায়ী তাঁরা পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন। উৎপাদনের দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম রেল ইঞ্জিন তৈরির কারখানা সিএলডব্লুও প✅শ্চিম বর্ধমান জেলায় রয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে রেল স্টেশন ও রেললাইনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।