অবিলম্বে যোগ্যদের তালিক🦋া প্রকাশ করতে হবে। আর টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া অযোগ্যদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। যারা এই টাকা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিগুলি তুলে আজ, বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল সল্টলেকের বিকাশ ভবনে। আজ বিকাশ ভবন অভিযানে নামে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের অধিকার মঞ্চ। গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়লেন চাকরিহারারা। আর এখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেড় ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা। এমনকী বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্ত ভিতরে ঢুকতে গেলে চাকরিহারারা ঘিরে ধরেন সব্যসাচীক꧙ে। তাঁকে ধরে রীতিমতো টানা হ্যাঁচড়া করার সঙ্গে স্লোগান ওঠে ‘চাকরি চোর’।
এদিকে আজ, বৃহ🌌স্পতিবার দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান থেকে চাকরিহারারা জানিয়ে দেন, ‘দেড় ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে বিকাশ ভবনে হাজির হয়ে যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আন্দোলন আরও ভয়ঙ্কর আকার নেবে।’ আবার সব্যসাচী দত্তের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন চাকরিহারারা। এই আবহে সব্যসাচী দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নিজের কাজে এখানে এসেছিলাম। ওরা ওদের আবেগে করছে। মুখ্য়মন্ত্রী রিভিউ পিটিশন করেছেন। ওদের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ওরা জানেও না কাকে বিক্ষোভ দেখাব꧙ে? চোর স্লোগান কাকে দিচ্ছে ওরাই জানে।’
আরও পড়ুন: বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি, গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকলেন চাকরিহারারা, চাপে পুলিশ
অন্যদিকে বিকাশ ভবনের সামনে জড়ো হন বিপুল চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষাকর্মী। তখনই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই সম্মিলিত ফোর্স মূল ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। এখানে প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলেই তুমুল বচসা এবং ধস্তাধস্তি শুরু হয়। চাকরিহারারা এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। এই উত্তপ্ত আবহ থেকেই চাকরিহারারা বলতে থাকেন, ‘আমরা যদি চুরি করে থাকি, তাহলে আমাদের গুলি চালিয়ে দিক।’ ಞতাঁদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘চোরেদের বিচার চাই, আমাদের চাকরি ফেরত চাই।’ চাকরিহারারা বলেন, ‘অনেক আশ্বাস শুনেছি। আর নয়। অবিলম্বে যোগ্যদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে।’