তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর।বাইরে বেরোলে চাঁদি ফাটা রোদ। আর ঘরের ভিতরেও গরমে চরম অস্বস্তি। পাখার হাওয়াতেও অস্বস্তি কাটছে না। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা শুধু রাজ্যবাসীরই নয়, তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পশু পাখিরাও। সোমবার কলকাতা মাউন্টেড পুলিশꦯের ৮টি ঘোড়া ডিহাইড্রেশনজনিত সমস্যার কারণে একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি ঘোড়াগুলিকে ঠান্ডা জলে স্নান করিয়ে এসিযুক্ত আস্তাবলে নিয়ে যাওয়া হলে ঘোড়া📖গুলি সুস্থ হয়ে ওঠে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার মাউন্টেড পুলিশের ঘোড়ার আস্তাবলে আরও বেশি সংখ্যায় এসি বসাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, গরম থেকে ঘোড়াগুলিকে রক্ষা করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:কলকাত🔥া ও লাগোয়া এলাকায় প্রবল তাপপ্রবাহ, বৃষ্টিবিহীন বৈশাখ হার মা⛦নাল রাজস্থানকেও
এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের আস্তাবল। বর্তমানে সেখানে ২৭ টি ঘোড়া রয়েছে। এই ঘোড়াগুলিকে সুস্থ রাখতে আস্তাবলে তিন থেকে চারটি এসি 🀅বসাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, এসএন ব্যানার্জি রোডে অবস্থিত আস্তাবলে ৩৮ টি ঘোড়া রয়েছে। তবে বর্তমানে সেখানে চারটি এসি রয়েছে। ১৮৪০ সাল থেকে চালু হওয়া কলকাতা মাউন্টেড পুলিশ সম্꧒প্রতি তাপমাত্রার প্রভাব মোকাবেলায় ঘোড়াগুলিকে সুস্থ রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ শুরু করেছে। মাউন্টেড পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গরমে ঘোড়া ক্লান্তি অনুভব করলে এসি আস্তাবলগুলি খুবই কার্যকরী হয়ে ওঠে। তাপপ্রবাহের কারণে ঘোড়াদের ক্লান্তির দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে মারাত্মক হতে পারে। এইসব লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত ঘাম, দ্রুত শ্বাস নেওয়া এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া প্রভৃতি। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, যদি কোনও ঘোড়া হিটস্ট্রোকে ভোগে তবে সেটিকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এসি চেম্বারে রেখে বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।
সাধারণত, কোনও সমাবেশ, মিছিল বা বড় ক🐼োনও অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং ময়দান এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের মাউন্টেড ইউনিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গরমের মধ্যেই আইপিএল শুরু হওয়ায় ঘোড়ার মাধ্যমেই মাউন্টেড পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফলে ঘোড়াগুলির স্বাস্থ্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই💖 পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এসি আস্তাবলের পাশাপাশি, ঘোড়াগুলিকে সুস্থ রাখার জন্য অন্যান্য ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি চলছে। তাই প্রতিদিন ভোর থেকেই আস্তাবলে ঘোড়াদের জন্য পর্যাপ্ত জল মজুত রাখা হচ্ছে। প্রতিটি ঘোড়ার জন্য দিনে চারবার জলের পাত্র ভরে রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রত্যেকটি ঘোড়া যাতে ২০ থেকে ২৫ লিট🔯ার করে জল পান করে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ঘোড়ার সাহায্যে টহলের সময়ও পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপের সময় এড়িয়ে চলা হচ্ছে। টহল রুট জুড়ে জলের যোগান রাখা হচ্ছে। এছাড়াও ইলেক্ট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট সরবরাহ করা হচ্ছে।
শুধু ত𓆏াই নয়, টহল দিয়ে আস্তাবলে ফিরে আসার পর প্রতিটি ঘোড়ার শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। খাবারের ক্ষেত্রে সহজে🍰 হজম হয়ে যায় এমন ধরনের পশুখাদ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন পশুচিকিৎসকরা। যেকোনও জরুরি পরিস্থিতিতে পশুদের চিকিৎসার জন্য পশুচিকিৎসকদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।