কাঁথিতে সনাতনীদের সম্মেলন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে বড় আয়োজন। আর সেই অনুষ্ঠানের বক্তব্যের একটি ক্লিপকে তুলে ধরে খোঁচা দিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
তিনি লিখেছেন, জগন্নাথ মন্দিরের বিরোধিতা করতে গিয়ে একই দিনে সনাতনী সম্মেলন ডেকেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী!! সেই সম্মেলনের অবস্থা দেখুন...
প্রভুর সাথে কি আর ইগোর লড়াই চলে রে পাগলা? বলে কিনা, "পালাবেন না... আরো ২৫ হাজার স্টকে আছে!!" হাসব না কাঁদব! লিখেছেন দেবাংশু।
সামনে দাঁড়ান। কিছু সময় পরে প্রসাদ বিতরণ শুরু করব। সামনের সাধু বচন শুনুন। আজকের আয়োজনের প্রসাদ বিতরণ করব।
সেই সঙ্গেই সেই ভিডিয়োতে কার্তিক মহারাজকে বলতে শোনা যায়, ‘বার বার ঘোষণা করা হচ্ছে প্রসাদের ব্যবস্থা যথেষ্ট রেখেছি। প্রচুর রান্না করা হয়েছে। ২৫ হাজার মানুষের রান্না। আরও ২৫ হাজার স্টক আছে। বার বার বলা হচ্ছে এখান থেকে ঘোষণা করব তারপর প্রসাদ নিতে যাবেন। আমরা সব জায়গায় দেখেছি আমাদের এই সনাতন হিন্দু ধর্মের মানুষ মন্দিরে গেলে মন্দিরে যাওয়ার নাম নেই প্রসাদ খেতে বসে গেলেন। আরে মুসলমানের থেকে শিক্ষা নেই। একমাস রোজা লাগে। একটু জলও খায় না। এত বড় আয়োজন করেছেন, আমরা সবাই চলে যাচ্ছি প্রসাদ খাওয়ার জন্য। প্রসাদ কি আমরা পাই না। লজ্জা লাগছে। বাঙালি হিন্দু হিসাবে পরিচয় দিতে। আজকে একটু দাঁড়ান। হাজারে হাজারে লাইন দিয়ে চলে যাচ্ছেন একবার মঞ্চে এলেন না, যজ্ঞ সভায় এলেন না. সাধু দর্শনে এলেন না।’ বলেন কার্তিক মহারাজ।
অপর একজনকে মাইকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বিনম্র অনুরোধ আমরা সবাই প্রসাদ পাব। আগে মনটা ভরে যাক তারপর পেটটা ভরবে।’
কার্যত অনুষ্ঠানের তুলনায় প্রসাদ খাওয়ার দিকে বেশি আগ্রহ এটাই দেখা গেল এই ভিডিয়োর মাধ্যমে। এনিয়ে খোঁচা দিলেন দেবাংশু। তবে এই প্রসাদ প্রসঙ্গে দেবাংশুর খোঁচা নিয়ে পালটা কোনও জবাব মেলেনি অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে।
একদিকে জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অপরদিকে কাঁথির রেল ময়দানে সনাতনীদের সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, কার্তিক মহারাজ প্রমুখরা। সেখানেই প্রসাদ খাওয়ার জন্য় এত আগ্রহ।
তবে অনেকের মতে, শাসকদলের মিটিংয়ে আসার পরেও অনেকেরই মন থাকে টিফিনের দিকে। কলকাতা দর্শনের দিকে। এটাই কার্যত রেওয়াজ।