রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য এবার পালটা রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বাঁধগুলিতে ড্রেজিং না করার অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার দলীয় রাজ্য সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে বন্যার জন্য রাজ্য সরকারের বাঁধ থেকে জল ছাড়াকে দায়ী করেন তিনি। তিনি বলেন, আরজি করের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে বন্যাকে নাট্যমঞ্চে পরিণত করেছেন মমতা।
আরও পড়ুন - 'বাঁধ কেটে গ্রামে জল ঢুকিয়েছে TMC, বাঁধ মেরামতির ৪০ কোটি হজম করেছে তারা '
পড়তে থাকুন - বাড়ি ফিরে ফেলে যাওয়া চেয়ারে বসে কেঁদে ভাসালেন অনুব্রত
রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যাপরিস্থিতি তৈরি হতেই ডিভিসির বিরুদ্ধে রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ার অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এমনকী জল ছেড়ে যে সংস্থা মানুষ মারে তার থাকার দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসা এক রাজ্য সরকারি নির্দেশিকায় স্পষ্ট হয়েছে, জল যে ছাড়া হবে তা আগে থেকেই জানত নবান্ন।
তার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে একের পর এক বলে যাচ্ছেন। সেই বক্তব্যগুলো অসত্য। উনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না কি কিছুই জানানো হয়নি ডিভিসির জল ছাড়া প্রসঙ্গে। কিন্তু ১৭ তারিখে ওনারই পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওনার নির্দেশে সমস্ত জেলাকে চিঠি দিয়েছে যে ডিভিসি জল ছাড়বে আপনারা প্রস্তুত হোন। একই মুখে উনি স্ববিরোধী কথা উনি কী ভাবে বলতে পারেন?’
সুকান্তবাবুর দাবি, ‘আপনারা অপেক্ষা করুন, তথ্যপ্রমাণ বেরোচ্ছে যে ডিভিসি যে পরিমাণ জল ছেড়েছে সেই জলের জন্য পশ্চিমবঙ্গে বন্যা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়ার জন্য বন্যা হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘সমস্ত বাঁধের একটা জলধারণ ক্ষমতা থাকে। যত সময় যায় তত সেই ক্ষমতা কমতে থাকে। তার কারণ, জমা জল থাকলে পলি পড়ে। এই পলি তুলে না ফেললে জলধারণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের বাঁধগুলিতে গত ১০ বছরে কখনও পলি তোলার কাজ হয়নি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী পরিকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করায় বিশ্বাস করেন না।’
আরও পড়ুন - সরকারি প্রকল্পের ১২০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে, পুরপ্রধানকে সাসপেন্ড করল TMC
সুকান্তবাবুর কটাক্ষ, ‘এখন গোটা বন্যা পরিস্থিতিটাকে উনি নাট্যমঞ্চে পরিণত করেছেন। যাতে আরজি কর থেকে মানুষের নজর যেন বন্যার দিকে চলে যায়।’