গোটা ফ্লাইওভার মোড়া সিসিটিভি ক্যামেরায়। ২৪ ঘণ্টা অতন্দ্র প্রহরায় থাকেন ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকরা। তার পরেও কলকাতার মা ফ্লাইওভারে মৃত্যু যেন থামছেই না। বিশেষ করে ভোরবেলা এই ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা যেন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুধবার সকাও তেমনই একটি মৃত্যুর সাক্ষী রইলেন ওই ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াতকারীরা। বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পড়ে থেকে ধীরে ধীরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো যেত।জানা গিয়েছে, সায়েন্স সিটি মুখি লেনে হেলমেট ছাড়া দ্রুতবেগে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। ঘাড়ে মোবাইল ফোন চেপে ধরে কথা বলছিলেন কারও সঙ্গে। তখনই উড়ালপুলের ওপরে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন রাস্তায়। তার জেরে মাথা গুরুতর আঘাত পান তিনি। এর পর প্রায় ৪০ মিনিট আহত অবস্থায় উড়ালপুলের ওপর পড়ে ছিলেন ওই বাইকআরোহী। তার পর পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাত সকালে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। তবে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো বাঁচানো যেত।এই ঘটনায় মা উড়ালপুলে যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাতে মা উড়ালপুল বন্ধ থাকে। সকালে কী করে একজন মোটরসাইকেল আরোহী হেলমেট ছাড়া উড়ালপুলে উঠে পড়লেন। কেন ৪০ মিনিট রাস্তায় পড়ে রইলেন তিনি? কেন সকালে মা উড়ালপুরে নজরদারির ঘাটতি হচ্ছে?