পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সব সময়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা করার চেষ্টা করে থাকে। আখেরে লাভ কিছুই হয় না। পালটা নিজেরাই থাপ্পর খেয়ে যায়। এর আগেও তারা বহু বার আইপিএলের সঙ্গে পিএসএল আয়োজন করে চ্যালেঞ্জ জানানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ধাক্কা খেয়েছে পিএসএল-ই। যাইহোক এবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পর, ঘোষণা করা হয়েছিল যে ১৭ মে থেকে আবার আইপিএল শুরু হবে। তার পর পিসিবি-ও একই দিনে পিএসএল পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এতে আইপিএলে কোনও আঁচ আসেনি। বরং পিএসএল-ই চাপে পড়েছে। কারণ আইপিএল খেলার জন্য মরশুমের মাঝামাঝি সময়ে দুই বিদেশি প্লেয়ার পাকিস্তান ছেড়েছেন।
এই বিদেশি প্লেয়ার পাকিস্তান ছেড়ে আইপিএলে যোগ দিয়েছেন
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পর, অনেক বিদেশি খেলোয়াড়ই তাঁদের দেশে ফিরে গিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়ের অভাব দেখা দিয়েছে। এই কারণে, আইপিএল এবং পিএসএল পুনরায় শুরু করা দুই বোর্ডের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, বিসিসিআই মনে এই লড়াইয়ে হয়তো পিসিবি-কে হারিয়ে দিচ্ছে, কারণ তারা আইপিএল খেলা বেশির ভাগ খেলোয়াড়দের ফিরে আসতে রাজি করিয়েছে। সঙ্গে কিছু পিএসএলের খেলোয়াড়ও ভারতে এসে আইপিএলে যোগ দিয়েছেন। আসলে, বাবর আজমের নেতৃত্বে পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলা অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় মিচেল ওয়েন পিএসএলকে লাথি মেরে চলে এসেছেন আইপিএল খেলতে। আর ১৭ মে থেকে আবার আইপিএল শুরু হওয়ার ঠিক আগেই তিনি পঞ্জাব কিংস দলে যোগ দিয়েছেন।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল চোটের কারণে ছিটকে গেলে, তাঁর বদলি হিসেবে ওয়েনকে চুক্তিবদ্ধ করেছে পঞ্জাব কিংস। পিএসএল ফাইনালের পর তাঁর ভারতে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে, সোজাসুজি ভারতে আইপিএল খেলতে চলে এসেছেন। অন্যদিকে, কুশল মেন্ডিসও গুজরাট টাইটান্সের সঙ্গে চুক্তি করে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন। জস বাটলারের জায়গায় তাঁকে চুক্তিবদ্ধ করেছে গুজরাট। বাকি ম্যাচগুলির জন্য বাটলার ভারতে ফিরবেন না। তাই মেন্ডিস তাঁর জায়গা নেবেন। বর্তমানে উভয় খেলোয়াড় কত টাকা পেয়েছেন, তা জানা যায়নি। কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই পিএসএলের চেয়ে বেশি অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁদের, তবেই এই খেলোয়াড়রা ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা
২০২৫ সালের পিএসএলে পেশোয়ার জালমির হয়ে ওয়েন ৮টি ম্যাচ খেলেছিলেন। তবে তাঁর পারফরম্যান্স আহামরি কিছু ছিল না। তিনি ১৪.৫৭ গড়ে মাত্র ১০২ রান করেছেন এবং দু'টি উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু তিনি বিগ ব্যাশ লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন এবং তাঁর দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। এদিকে কুশল মেন্ডিস এই মরশুমে কোয়েটা দলের হয়ে ১৬৮ স্ট্রাইক রেটে ১৪৩ রান করেছিলেন। ভারতে এই খেলোয়াড়দের আগমন পাকিস্তানি লিগের জন্য বড় ধাক্কা হবে। এর ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং পিসিবি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আইপিএলে খেলোয়াড়ের অভাব পূরণ হলেও, পিএসএলের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হতে চলেছে।