রাজ্যে শেষ দফার ভোটপ্রচারে এসে বারুইপুর থেকে তৃণমূল ও সিপিএমকে প্রায় একাসনে বসিয়ে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার বিকেলে যাদবপুর ও দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র রক্ষায় পাহারা লাগাতে হয়। তৃণমূলের জমানায় পশ্চিমবঙ্গে দূরবীণ দিয়েও সুশাসন খুঁজে পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: এবার রাজপথে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজালেন মমতা, নেপথ্যে সেই পরেশ পাল, BJP-র প্রশ্ন কার?
পড়তে থাকুন: সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ৮ সপ্তাহ সময় দিল হাইকোর্ট
মোদী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দিল্লিতে ইন্ডি জোটে থাকবেন। তার মানে এখানে সিপিএমকে ভোট দেওয়া আর তৃণমূলকে ভোট দেওয়া একই ব্যাপার। তৃণমূলের কাছে কি কোনও দিশা রয়েছে? তারা শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে ব্যস্ত। যারা শুধু নিজের ভোটব্যাঙ্কের জন্য কাজ করে তারা এখানকার যুবাদের জন্য কিচ্ছু করতে পারবে না। তৃণমূল আপনাকে গরিব আর পশ্চাদপদ করে রাখতে চায়। যাতে ওদের দোকান চালু থাকে। ওদিকে মোদী উন্নত ভারতের জন্য কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘সিপিএম আর তৃণমূলের রাজনীতি বাংলাকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে। এরা নামেই দু’টো পার্টি। আসলে এদের দোকান একটাই। আর দোকানে জিনিসপত্রও সব একই। দু’টো দলই ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করে। ২টো দলই পশ্চিমবঙ্গকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা উপহার দিয়েছে। এই ২টো দলই গণতন্ত্র বিরোধী। পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা কোনও ভোটই বাংলায় রক্তারক্তি ছাড়া শেষ হয় না। এখানে গণতন্ত্র রক্ষা করতে পাহারা বসাতে হয়। এখানে মানবতার সেবায় নিয়োজিত সন্তরা সরব হওয়ায় তাঁদের জীবনযাপন বিভীষিকাময় করে দিয়েছে। তাদের গালাগালি করতে শুরু করেছে। হামলা করতে শুরু করেছে। এখন গোটা দেশের সামনে তৃণমূলি সন্ত্রাসের এই মডেলের পর্দাফাঁস হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আজ চার্জশিট জমা পড়ল আদালতে, দুর্নীতির অভিযোগ ইডির
তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, ‘তৃণমূল হিংসা ও হানাহানির রাজনীতি করে। তৃণমূল দুর্নীতিকে প্ররোচনা দেয়। তৃণমূল আর সুশাসনের দূর – দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলায় সুশাসন দূরবীণ দিয়ে খুঁজলেও দেখা যায় না, মাইক্রোস্কোপ দিয়ে সন্ধান করলেও পাওয়া যায় না।’
এদিনের সভা থেকে বাংলায় হিংসা হানাহানির রাজনীতি বন্ধ করতে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিজেপিকে ভোটদানের আহ্বান জানান মোদী।