গান দিয়ে খ্যাতি কুড়িয়েছেন দেবলীনা নন্দী। সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। তা সে ডেইলি ভ্লগিং হোক বা গান গাওয়ার ভিডিয়ো। মিষ্টি স্বভাব, সবসময়ই হাসিখুশি থাকা দেবলীনাকে ভালোবাসার মানুষও কম না। তবে এবার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে, নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল দেবলীনাকে। রীতিমতো বিরক্🧔ত, কারণ অনবরত তাঁর মা-কে নিয়ে উলটোপালটা কথ💧া বলা হচ্ছে। ‘বাজে দেখতে’ বলে করা হচ্ছে অপমান।
শনিবারের শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেবলীনা বলে উঠলেন, ‘অনেকেই দেখছি আমার মাকে নিয়ে অবসেসড। এটা নতুন না। আগাগোড়া আমি এটা দেখেছি। আমাকে এসে বলছে, এটা তোমার মা, দেখে তো꧃ মনে হয় না! আমি অবাক হয়ে যাই, কী ভেবে বলে, ভাবে কি আমি খুশি হব? কোনো সুসন্তান কি খুশি হতে পারে?’
দেবলীনা বিরক্তি প্রকাশ করে বললেন, ‘মা বাজে 𒊎দেখতে, এটা তোমাদের কে বলল? তোমরা কে বিচার করার? মা যেমনই হয়, সে তো মা-ই হয়। তোমরা কি গাছ থেকে টপকেছ? জানো না মাকে নিয় বললে, সন্তানের কেমন লাগে।’
‘আꩵমার মা দেখতে ভালো না𝔍, আমার মা হাসে না! আরে ভাই… আমি যদি কখনো সুযোগ পাই, আমার মায়ের বিয়ের আগের ছবি দেখাব। এত কিছু সহ্য করেছে। আমরা যে কেউ থাকলে হাল ছেড়ে দিতাম। মা কিন্তু টিকে থেকেছে, শেষ পর্যন্ত দেখবে বলে…’, আরও বলতে শোনা গেল দেবলীনা।
একসময় নুন আনতে পান্তা ফুরত দেবলীনাদের। দু বেলা খাবর জুটত না। সেই জায়গা থেকে এসে নাম করেছেন দেবলীনা। গান দিয়ে পরিচিতি তৈরি করেছেন গোটা বাংলায়। আর এর পুরো ক্রিডিট মাকেই দিলেন তিনি। বললেন, ‘আমার একটা কুসংস্কার আছে, মনে হয় মা না থাকলে ভালো হবে না। তা সে শো হোক, ইন্টারভিউ হোক, রেকর্ডিং হোক। মার যখন গ্ল্যান্ডে অপারেশন হল, ব্যান্ডেজ নিয়েও আমার সঙ্গে গেছে। গাড়িতে শুয়ে ছিলꦓ, নামেনি তাও গেছে। আমি আজকে যতটুকু তার পিছনে সবটুকু আমার মায়ের জন্য, মা আমার ব্যাক বোন।’
দেবলীনার সঙ্গে সহমত তাঁর অনুরাগীরাও। একজন লেখেন, ‘দিদিভাই মায়েদের রূপ দিয়ে বিচার করা যায় না গো। মায়েদের শুধু মায়া-মমতা-স্নেহ-দায়িত্ব-কর্তব্য আর বুক ভরা ভালবাসা আর্শিবাদ থাকে গো। যারা এই ধরনের কথা বলেছেন তারা আসলে মা কথার অর্থই বোঝে না। তোমার কথাগুলো একদম ঠিক।’ আরকজন লেখেন, ‘মা যেমনই হোক সুন্দর। কিছু কিছু মানুষ শুধু সৌন্দর্য নিয়েই বিচার করে। তাদের মানসিকতা কি এটাই বুঝতে পারি না… মাকে নিয়েও সমালোচনা... মায়ের মতো সুন্দর কে🌳উ হয় না। কাকিমা আমাদের সুন্দর মনের একজন মানুষ আর আমরা সবসময় কাকিমা তোমার পা𒅌শে এইভাবেই দেখতে চাই।’