আবারও ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ হাতে ধরা পড়ল শিশু-সহ ২৫ বাংলাদেশি। সে দেশের ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন ১১ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা এবং ৪ শিশু। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাদের আটক করে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিজিবি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃতরা নড়াইল, খুলনা, ঢাকা, মাগুরা এবং যশোর জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন-পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মাঝে তাজমহলে ভান্স! কী বললেন মাস্ক?
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ উপজেলার পলিয়ানপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশি অভ্যন্তরীণ পলিয়ানপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ভুট্টাখেতের মধ্যে ২৫ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।আটকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশের হাতে হস্তান্তর হয়েছে।ভারতে এসে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করে থাকার পরিকল্পনা ছিল তাদের? নাকি অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওই ২৫ জনের? ধৃতরা কি নাশকতার ছক করতে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসছিল? সেসব প্রশ্ন উঠছে।অন্যদিকে, বুধবারই ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শিলিগুড়ি থেকে ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিনজন নাবালক রয়েছে। বুধবার রাতে ভক্তিনগর থানার আসিঘড় আউটপোস্টের পুলিশ গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ফকদারবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের বিদেশি সম্পর্কিত আইন, ভারতে প্রবেশ সংক্রান্ত আইন এবং পাসপোর্ট আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়।ধৃতরা হলেন যতীনচন্দ্র রায় (৫৬), বাউলো রানি (৫৪), বালু চন্দ্র রায় (৪০), গোলাপি রানী (৩০), ঝরনা রানী (৩৪), সঞ্জীব রায় (১৯) ও নির্মল মজুমদার (৬০)।
আরও পড়ুন-পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মাঝে তাজমহলে ভান্স! কী বললেন মাস্ক?
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ আরও তৎপর হয়েছে। তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে তাতে আপত্তি জানাচ্ছে বিজিবি। তবে গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী নিন্দানন্দ রাই জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। সীমান্তে নজরদারির জন্য বাহিনীর টহলদারি, নাকা এবং নজরদারির চৌকি সজাগ রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ এবং বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে যৌথ অভিযান চালানো হয়। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পর্যাপ্ত আলো এবং সীমান্তের জলপথে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জলপথে নজরদারির জন্য রয়েছে ভাসমান সীমান্ত চৌকিও। এছাড়া সীমান্তে মানবপাচার রোধ করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নেতৃত্বে ১৫টি দলও টহল দিচ্ছে।